Breaking News

WorldWarThreat

WorldWarThreat : ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষে উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য: আগামী ২৪ ঘণ্টা ভয়াবহ হতে পারে

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষ ভয়াবহ মোড় নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি জানিয়েছেন, “ইরানের আকাশ এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।” ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যে স্পষ্ট, যুদ্ধের কেন্দ্র এখন ইসরাইল নয়—নাটের গুরু যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ইরান হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দিয়েছে, যা এই সংঘর্ষে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

WorldWarThreat: The Tensions in the Middle East %%page%% %%sep%% %%sitename%%

WorldWarThreat

ক্লাউড টিভি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের মরুপ্রান্তর জ্বলছে যুদ্ধের আগুনে। ইরান-ইসরাইলের সংঘর্ষ ছয় দিনে পড়েছে, আর এই তপ্ত উত্তেজনার মাঝে আগামী ২৪ ঘণ্টা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, তা নিয়ে সরাসরি হুঁশিয়ারি  (WorldWarThreat) দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কানাডায় চলা জি-সেভেন সম্মেলন থেকে রওনা দেওয়ার সময় ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে তিনি বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বোঝা যাবে ইসরাইলের হামলা গতি কমাবে, না আরও বাড়াবে।” বিশ্ব কূটনীতির মঞ্চে ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ঝড় উঠেছে। পরিস্থিতি দেখে স্পষ্ট—ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মরু অঞ্চলে যুদ্ধের তাপমাত্রা বাড়ছে।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। আরও এক পোস্টে তিনি জানান, “ইরানের আকাশ এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে।” এর সঙ্গেই বিস্ফোরক দাবি, “খামেনি কোথায় আছেন, আমরা জানি। কিন্তু তাঁকে এখনই হত্যা করব না।” এমন প্রকাশ্য হুমকি বিগত কয়েক দশকে শোনা যায়নি।

মার্কিন আধিপত্য নিয়ে শি’র কড়া বার্তা: ‘যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্ব চলবে’

‘খামেনিকে আর বেঁচে থাকতে দেওয়া যাবে না’, সোরোকা হাসপাতালে ইরানের হামলার পর ইজরায়েলের সরাসরি হুমকি

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে, ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ এখন কেবল দুই দেশের সীমাবদ্ধতায় নেই। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ও কার্যকরভাবে জড়িয়ে পড়েছে এই সংঘাতে। আর তাই তেহরানও তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনছে।

ইরান সরকার বুধবার সকালে ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ খবর সম্প্রচার করা হয় এবং বলা হয়—এই মিসাইল “অত্যন্ত দ্রুত গতি ও নির্ভুলতায়” শত্রুর স্থাপনাগুলিতে আঘাত হানতে সক্ষম।
বিশ্বের খুব কম দেশ এমন অস্ত্রের মালিক—রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কেউ এতদূর এগোয়নি। ফলে ইরান এই মিসাইল ছুঁড়ে যুদ্ধের মানচিত্রেই বদল আনতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মিসাইল ব্যবহারের অর্থ—ইরান যুদ্ধ থামাতে নয়, বাড়াতে চাইছে। এই ঘটনার পরেই ইসরাইলি বাহিনী গাজা, দামাস্কাস ও ইরানের সীমান্ত এলাকায় বিমানহানা চালিয়েছে।

ট্রাম্প যেখানে হুমকি দিচ্ছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাষ্ট্রসংঘ সেখানে বারবার ‘সংযম’ এবং ‘ডি-এসক্যালেশন’-এর বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কেউ থামাতে পারছে না এই আগুনের লেলিহান শিখা।
বিশ্ব রাজনীতির চর্চায় এখন প্রশ্ন একটাই—এই যুদ্ধ কি পূর্ণমাত্রার বিশ্ব সংঘাতে রূপ নিতে চলেছে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে সরাসরি নেতৃত্বে রয়েছে, সেটা ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা চাই ইরান নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করুক। না হলে ফল ভালো হবে না।” এই উক্তির মধ্যে কোনো কূটনৈতিক ভাষা নেই—এ যেন সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সুর।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়—ইসরাইল আগামী ঘণ্টাগুলিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। গাজায় হামলার তীব্রতা বেড়েছে, দামাস্কাসের কাছে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তেহরানের আকাশেও যুদ্ধবিমান চক্কর দিচ্ছে।

অবস্থাদৃষ্টে যুদ্ধ এখন নিছক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নেই, বরং বিশ্বশক্তির টানাপড়েনে পরিণত হয়েছে। ইরান যেমন নতুন মিসাইল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিরোধ দেখাচ্ছে, তেমনই যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক হুঁশিয়ারির পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টা হয়তো নির্ধারণ করবে, এই যুদ্ধ কোথায় গিয়ে থামবে—নাকি থামবেই না।

আরও পড়ুন :

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে তেলের দাম বাড়ছে, কিন্তু ভারত কতটা চাপে?

ইরানকে ট্রাম্পের হুঙ্কার : বাঙ্কার ফাটানো বোমা, না কি ফোনের কূটনীতি? দোলাচলে তেহরান

ad

আরও পড়ুন: