নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহারান মামদানি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম প্রথম মেয়র

Zohran Mamdani Newyork Mayor

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : নিউ ইয়র্কে নতুন রাজনৈতিক ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। জোহরান মামদানী মেয়র নির্বাচনে জিতে ইতিহাস গড়লেন। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম ভারতীয়‐আমেরিকান মুসলিম মেয়র। আগে কখনও এই পদে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কেউ আসেননি।এই জয় এখন আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

মামদানীর বয়স মাত্র ৩৪ বছর। তিনি যুব প্রজন্মের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তাঁর প্রচার ছিল সরাসরি জনসংযোগ ভিত্তিক। সোশ্যাল মিডিয়া, রাস্তার পোস্টার, প্রতিবেশী সভা ও গণপরিবহনে প্রচার তাঁকে জনপ্রিয় করেছে।তিনি প্রস্তাব করেছিলেন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট আরও সহজলভ্য করা। এ ছাড়া কমিউনিটি সাপোর্ট বৃদ্ধি এবং সমাজকল্যাণমূলক পরিষেবা বাড়ানো তাঁর পরিকল্পনায় ছিল। তিনি ভাড়া-নিয়ন্ত্রণ ও নতুন আবাসন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেন।

নির্বাচনী প্রচারে গ্রাসরুটের উপর জোর দেন মামদানী। তরুণ ও সংখ্যালঘু ভোটারদের বড় সমর্থন পান তিনি।
অনেকেই তাঁকে নিউ ইয়র্কের নতুন প্রগতিশীল মুখ বলছেন।

জোহরান মামদানীর জন্ম উগান্ডায়। পরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন। তাঁদের পরিবার পরে নিউ ইয়র্কে চলে আসে। শিক্ষা নিয়েছেন Bowdoin কলেজে। আফ্রিকানা স্টাডিজে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

তিনি সাবওয়ে স্টেশন থেকে প্রচার শুরু করেছিলেন। এই প্রচার সাধারণ মানুষকে যুক্ত করেছে। নির্বাচনের পর তাঁর প্রথম ভিডিওতে দেখা যায় সাবওয়ে ঘোষণা— “Next and last stop, City Hall।”

নিউ ইয়র্কে বন্দুকবাজের হামলা, শহীদ বাংলাদেশি অভিবাসী পুলিশ অফিসার, মোট নিহত ৪

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত: পিউ রিসার্চের রিপোর্টে চাঞ্চল্য

ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে এই সাফল্য ব্যাপক উচ্ছ্বাস এনেছে। বিশেষত, দক্ষিণ এশীয় মুসলিম সম্প্রদায় এই জয়কে প্রতীকী সাফল্য বলছে। তবে সামনে চ্যালেঞ্জও কম নয়।তাঁর নানা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রশাসনিক বাধা আসতে পারে। পুলিশ ব্যবস্থা, গণপরিবহন এবং বাসস্থান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁকে।

তিনি বলেছেন, শহরের সাধারণ মানুষের উন্নতি তাঁর প্রথম লক্ষ্য। আর, এটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ পরিকল্পনা তৈরি করছেন তিনি। ডেমোক্র্যাট দল তাঁর এই জয়ে উৎসাহ পেয়েছে। কারণ, একে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকা বাড়ছে। এই নির্বাচন তার আরেকটি উদাহরণ দিল।বাংলার বহু পরিবার নিউ ইয়র্কে থাকেন। তাদের মধ্যেও এ জয় এখন আলোচনার বিষয়।

এখন নজর থাকবে তিনি কীভাবে শহর পরিচালনা করেন। শহরের অর্থনীতি, বসবাস, এবং নিরাপত্তা নীতিতে পরিবর্তন আশা করছে নিউ ইয়র্কবাসী। এই জয়ের পর নতুন প্রজন্ম আরও রাজনীতিতে আগ্রহী হচ্ছে।
যুব নেতৃত্বের সামনে এটি বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন :

সমুদ্রের নিচ থেকে অস্ত্র ছুঁড়ে পুরো উপকূলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিতে পারে, রাশিয়ার “ডুমসডে সাব” নিয়ে চিন্তায় ন্যাটো

মার্ক জুকারবার্গের রেকর্ড ভেঙ্গে মাত্র ২২ বছর বয়সে ৩৫ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ : Mercor-এর তিন তরুণ গড়লেন ইতিহাস