Breaking News

Hanuman Jayanti

আজ হনুমান জয়ন্তী হনুমান জির প্রিয় এই পাঁচ প্রসাদ, মানলেই ঘরে আসবে সুখ ও শান্তি

ব্যবসায়ী মহলে এই রীতির কদর অনেক বেশি।

Hanuman Jayanti: Celebrating Devotion and Strength %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Hanuman Jayanti

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : হিন্দু ধর্মে হনুমান জি কেবল একজন পূজ্য দেবতা নন, তিনি শক্তির প্রতীক, বিশ্বাসের স্তম্ভ। রামায়ণের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে তিনি আজও ভক্তদের জীবনে সমস্যা কাটিয়ে আশীর্বাদ দেন বলে বিশ্বাস। পুরাণে তাঁর ভক্তির বহু নজির রয়েছে। কিন্তু আধুনিক জীবনেও বহু মানুষ তাঁর আশ্রয়ে থেকে সাফল্য, শান্তি ও নিরাপত্তা অনুভব করেন। আজ জানব এমন পাঁচটি প্রসাদ সম্পর্কে, যা হনুমানজির (Hanuman Jayanti) প্রিয়—এবং যেগুলি তাঁকে নিবেদন করলে জীবনে আসে শুভ পরিবর্তন।

মায়ের নামে নতুন পরিচয়ে প্রতীক! আনুষ্ঠানিকভাবে হলেন প্রতীক স্মিতা পাটিল

বঙ্গজয়ে বিজেপির ভরসা সেই হিন্দুত্ব-মমতা বিরোধিতায়, ২৬ এ চিড়ে ভিজবে?

 

১. পান: কাজের শুরুতে শক্তি ও সাফল্যের প্রতীক

পুরাণ মতে, হনুমান জি-কে ভগবান রাম নিজে বর দিয়েছিলেন যে, যতদিন রামকথা থাকবে, ততদিন তাঁর পূজাও চলবে। কাজের শুরুতে পান নিবেদন করার রীতি এসেছে সেই সময় থেকেই। পান এখানে শুধু খাবার নয়, এটি শুভ সূচনার প্রতীক। কলকাতার একাধিক হনুমান মন্দিরে এখনো কাজ শুরুর আগে পান নিবেদন করে তবেই ভক্তরা সিদ্ধান্ত নেন। ব্যবসায়ী মহলে এই রীতির কদর অনেক বেশি।

২. নারকেল: রক্ষাকবচের প্রতীক

নারকেল ভেঙে নয়, গোটা নারকেল নিবেদন করলে হনুমানজি সেই বাড়িকে নিজের আশ্রয়ে নেন—এমনটাই বলা হয় স্কন্দ পুরাণ-এ। এ কারণে অনেক বাড়ির মূল দরজার উপরে নারকেল ঝুলিয়ে রাখা হয়। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, এটি একধরনের প্রাকৃতিক ‘নেগেটিভ এনার্জি রেপেলেন্ট’। দক্ষিণ কলকাতার এক পরিবার জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতি শনিবার গোটা নারকেল দেন হনুমানজিকে—বাড়িতে শান্তি বজায় থাকে, বলেও তাঁদের দাবি।

৩. গুড় ও ছোলা: পারিবারিক অশান্তির প্রতিষেধক

এই প্রসাদটির উল্লেখ রামচরিতমানসে রয়েছে। হনুমানজিকে রামের বনবাসকালে একান্তে এই প্রসাদ দেওয়া হয়েছিল বলে কাহিনি প্রচলিত। শাস্ত্রমতে, গুড় মঙ্গল গ্রহের প্রিয় বস্তু আর ছোলা হনুমানের শক্তির প্রতীক—এই দুই মিলে দাম্পত্য ও পারিবারিক অশান্তি দূর হয়। মানিকতলার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রতি মঙ্গলবার এই প্রসাদ দেওয়ার পর থেকেই তাঁদের পরিবারে কলহ অনেক কমেছে।

৪. ইষ্টদেবের আশীর্বাদ না পেলে—হনুমানই (Hanuman Jayanti) ভরসা

পুরাণে এমন অনেক কাহিনি আছে, যেখানে দেবতারা হনুমানজির মধ্যস্থতায় ভক্তদের আশীর্বাদ দিয়েছেন। হনুমানজির আর এক নাম ‘সঙ্কটমোচন’—তিনি যেকোনো বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন। তাই অনেকেই যখন ইষ্টদেবের পূজায় ফল না পান, তখন হনুমান জিকেই স্মরণ করেন। বিশেষ করে চাকরি না পাওয়া, বিয়ের সমস্যা, পড়াশোনার বাধা—এসব ক্ষেত্রে ভক্তেরা হনুমান মন্দিরে গিয়ে ফল পেয়ে থাকেন।

৫. ক্ষীর: কুদৃষ্টি নাশ ও লক্ষ্মীর প্রবেশ

ক্ষীর হল দেবতার অমৃতসম খাদ্য। পুরাণ অনুসারে, দেবতারা সমুদ্র মন্থনে অমৃত পেয়েছিলেন, আর ক্ষীর সেই অমৃতের প্রতীক। হনুমানজি যখন অশোক বনে সীতার কাছে প্রথম বার পৌঁছন, তখন তিনি এই ক্ষীর খেয়েই শক্তি সংগ্রহ করেন—এমন বিশ্বাস অনেক ভক্তের। ক্ষীর নিবেদন করলে ঘরে কুদৃষ্টি, অসন্তোষ, আর্থিক টানাটানি দূর হয় এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

ধর্মীয় বিশ্বাস যেমন অন্তরের ব্যাপার, তেমনি কিছু প্রথা ও রীতি বাস্তবেও প্রভাব ফেলে—বিশ্বাস করলে তা আরও কার্যকর হয়। হনুমান জির (Hanuman Jayanti) এই পাঁচটি প্রসাদ, শাস্ত্রসম্মত ও বাস্তব অভিজ্ঞতা মিলিয়ে, এমন এক উপায় দেখায় যা আধুনিক জীবনের নানা সমস্যা থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খুলতে পারে। তবে এই সমস্ত কিছুতে সবচেয়ে বড় কথা—ভক্তি, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা।

#হনুমানজি #বাংলাপুজো #ধর্মবিশ্বাস #পুরাণওবাস্তব #হিন্দুধর্ম #পুজোরীতি #ঘরেরশান্তি #অর্থসমৃদ্ধি #ভক্তিরপথ #সংকটমোচন #প্রসাদ

আরও পড়ুন :

চীনের ওপর ট্রাম্পের ১০৪ শতাংশ শুল্ক, বিশ্বজুড়ে এবার কী ঘটবে?

বিশ্বের শীর্ষ ধনী শহরের তালিকায় স্থান পেল দুবাই

 

ad

আরও পড়ুন: