Ancelotti BrazilCoach
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে জাতীয় দলের ডাগআউটে দেখা যাবে ক্লাব ফুটবলের কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। শুক্রবার ভোর ৫টায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আনচেলত্তির ব্রাজিল অধ্যায়ের সূচনা। রিয়াল মাদ্রিদ, মিলান, চেলসি, বায়ার্ন, পিএসজি—সকলেই যার হাতে সাফল্য দেখেছে, এবার সেই কোচ ব্রাজিলের গায়ে (Ancelotti BrazilCoach) পরিয়েছেন ‘সেলেকাও’র জার্সি।
তবে রঙিন স্বপ্নের শুরুতেই আনচেলত্তির সামনে রয়েছে পাঁচটি কাঁটায় ভরা চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে এই পাঁচটি পরীক্ষাই তার যোগ্যতা ও কৌশল নির্ধারণ করবে।
আনচেলত্তিকে পেতে ‘ছাড়েনি কিছুই’ ব্রাজিল, স্কালোনির তুলনায় ৪ গুণ বেতন
নিজেই জানিয়েছেন—“আমার একমাত্র লক্ষ্য ব্রাজিলকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জেতানো।” কিন্তু তার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্ব কখনোই সহজ নয়, আর সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল দলও বেশ ছন্দহীন। একাধিক হারের পর সমর্থকদের আস্থা ফিরে পেতে হলে আনচেলত্তিকে দলের আত্মবিশ্বাস ও ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় সমস্যা—একজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকারের অভাব।
রোনালদো, রোমারিও, অ্যাড্রিয়ানোর উত্তরসূরি এখনও তৈরি হয়নি।
বর্তমানে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনিয়ার মতো উইঙ্গার আছেন, কিন্তু প্রথাগত নাম্বার নাইন বলতে শুধু রিচার্লিসন—যিনি নিজেও দীর্ঘদিন ছন্দহীন। আনচেলত্তিকে একজন গোলখরার সমাধানকারী ফরোয়ার্ড খুঁজে বের করতেই হবে, তা না হলে বাকি সব কৌশলও ব্যর্থ হতে পারে।
আনচেলত্তি ক্লাব পর্যায়ে সবসময় মাঝমাঠকে দিয়েছেন আলাদা গুরুত্ব। রিয়ালে টনি ক্রুস, মদরিচের উপর তার নির্ভরতা ছিল প্রবল। কিন্তু ব্রাজিলে এমন ‘প্লেমেকার’ কেউ নেই। কাসেমিরো ডিফেন্সিভ দায়িত্ব সামলালেও গেম তৈরি করার জন্য কাউকে খুঁজে বের করতে হবে। এই ঘাটতি পূরণ না হলে ব্রাজিলের আক্রমণ হবে দাঁড়ায়বিহীন তরবারি।
বর্তমানে ব্রাজিলের রক্ষণ নড়বড়ে এবং ভুলে ভরা। কপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপে বারবার গোল খাওয়ার পেছনে ফুলব্যাক ও সেন্টারব্যাকদের ব্যর্থতাই দায়ী।
আনচেলত্তিকে কাফু-কার্লোসের মতো আধুনিক ডিফেন্ডার খুঁজে বের করতে হবে যারা রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও অবদান রাখতে পারবে।
সবশেষ ও সবচেয়ে আবেগঘন চ্যালেঞ্জ—ব্রাজিলের ফুটবলকে ‘সুন্দর’ করে তোলা, যাতে আবারও জনগণ দলকে বিশ্বাস করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেলেকাওয়ের খেলা যেমন অগোছালো হয়েছে, তেমনই কমে গেছে ‘জোগা বোনিতো’র মাধুর্য।
আনচেলত্তির অভিজ্ঞতা ও কৌশল দিয়ে যদি তিনি স্টাইল ও ফলাফল—দু’টোই আনতে পারেন, তবেই ব্রাজিল আবার নিজের জায়গায় ফিরবে।
আরও পড়ুন :
চোখ ধাঁধানো বেতনে সৌদি ক্লাবে সিমোন ইনঘাজি – ইউরোপ ছাড়লেন ইন্টার মিলান কোচ