সর্বকালের সেরা এশিয়া কাপ একাদশ
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপ মানেই ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দাপট, সঙ্গে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের চমক। আর এবার প্রথমবারের মতো আট দলের অংশগ্রহণে আরও জমজমাট হতে চলেছে টুর্নামেন্ট। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মাটিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। বাছাইপর্ব পেরিয়ে এশিয়ার তিন উদীয়মান দল—সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ওমান এবং হংকং জায়গা করে নিয়েছে মূলপর্বে।
টুর্নামেন্টে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে দলগুলো। গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান এবং স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। গ্রুপ ‘বি’-তে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং হংকং লড়বে একে অপরের বিপক্ষে। প্রতিটি দল একবার করে মুখোমুখি হবে গ্রুপপর্বে। এরপর প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার ফোরে। সুপার ফোরে সবাই সবার বিপক্ষে খেলবে, আর সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল লড়বে ফাইনালে।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত সবচেয়ে সফল দল। তবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও একাধিকবার শিরোপা জিতেছে। বাংলাদেশ গত কয়েক আসরে ফাইনাল খেললেও এখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি। আফগানিস্তান বারবার সম্ভাবনা দেখালেও বড় দলের বিপক্ষে জয়ের ধারাবাহিকতা গড়তে পারেনি। এমন টানটান উত্তেজনার আসরের আগে ক্রিকেটভক্তদের জন্য চমক নিয়ে এসেছে বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম cricinfo। তারা প্রকাশ করেছে সর্বকালের সেরা এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি একাদশ।
ক্রিকইনফোর নির্বাচিত একাদশে প্রাধান্য পেয়েছে ভারতের ক্রিকেটাররা। সর্বোচ্চ চারজন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন ভারত থেকে। এর মধ্যে আছেন বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, জাসপ্রীত বুমরাহ এবং অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনিকে শুধু দলের নেতৃত্বই নয়, ব্যাটিং অর্ডারে ফিনিশারের ভূমিকাতেও সেরা হিসেবে বিবেচনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শ্রীলঙ্কা থেকেও দাপট দেখিয়েছেন তিন কিংবদন্তি। ওপেনার সনাথ জয়সুরিয়া, ব্যাটিং মায়েস্ত্রো মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং দুর্দান্ত ইয়র্কার স্পেশালিস্ট লাসিথ মালিঙ্গা একাদশে জায়গা পেয়েছেন। তাদের পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কার আধিপত্যের প্রতিফলন বলে মনে করছে ক্রিকেটবোদ্ধারা।
বাংলাদেশ থেকে দলে একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাশিতই ছিল। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়ে জাদু দেখাতে পারেন তিনি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সাকিব ছিলেন বারবার নির্ভরযোগ্য নাম।
পাকিস্তান থেকে জায়গা পেয়েছেন দুই তারকা ক্রিকেটার। একদিকে কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি, যিনি তার বিধ্বংসী ব্যাটিং আর স্পিনে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। অন্যদিকে পেস বোলিংয়ে আছেন উমর গুল, যিনি টি-টোয়েন্টির শুরুর যুগে দুর্দান্ত সাফল্য এনে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে।
আফগানিস্তান থেকে একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করেছেন রশিদ খান। টি-টোয়েন্টির আধুনিক ক্রিকেটে রশিদ অন্যতম সেরা ম্যাচ-উইনার। তার লেগস্পিন ভেঙে দিয়েছে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ। এশিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে আফগানিস্তানের উত্থানে রশিদ বড় ভূমিকা রেখেছেন।
অনিশ্চয়তার মুখে এশিয়া কাপ – ভারত-পাক উত্তেজনায় টুর্নামেন্ট বিপাকে
এইভাবে গড়ে উঠেছে এক স্বপ্নের দল। ক্রিকেটভক্তদের চোখে এটি শুধু একটি তালিকা নয়, বরং এশিয়ান ক্রিকেটের গৌরবময় অধ্যায়। ভারতীয় ভক্তরা যেখানে ধোনি ও কোহলিকে নিয়ে গর্বিত, সেখানে শ্রীলঙ্কানরা জয়সুরিয়া, জয়াবর্ধনে ও মালিঙ্গাকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হচ্ছেন। বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে গর্বের নাম সাকিব, আর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সমর্থকরাও নিজেদের তারকা খেলোয়াড়কে এই একাদশে দেখে উচ্ছ্বসিত।
সর্বকালের সেরা এশিয়া কাপ একাদশ (cricinfo):
সনাথ জয়সুরিয়া, মাহেলা জয়াবর্ধনে, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, শহীদ আফ্রিদি, রশিদ খান, উমর গুল, জাসপ্রীত বুমরাহ এবং লাসিথ মালিঙ্গা।
এই দলটি নিঃসন্দেহে ক্রিকেটভক্তদের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। পাশাপাশি আসন্ন এশিয়া কাপের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে। কে জানে, এবারের আসরে কোন নতুন তারকা এমন পারফরম্যান্স দেখাবেন, যিনি ভবিষ্যতের সেরা একাদশে জায়গা করে নেবেন!
আরও পড়ুন :
পিটার নাভারোর অভিযোগের জবাব দিলেন ইলন মাস্ক: “X-এ মানুষই নির্ধারণ করে সত্য”
অফিস প্রেম গোপন করায় বরখাস্ত নেসলে সিইও লরাঁ ফ্রেইক্স : ৪০ বছরের কর্মজীবনের অবসান