Breaking News

BrazilFootball FriendlyMatches

বিশ্বকাপের আগে ছয় প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল

২০২৬ বিশ্বকাপের আগে ছয়টি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলোতে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের দল থাকবে প্রতিপক্ষ হিসেবে।

BrazilFootball FriendlyMatches Ahead of World Cup %%page%% %%sep%% %%sitename%%

BrazilFootball FriendlyMatches

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে ছয়টি প্রীতি ম্যাচ (BrazilFootball FriendlyMatches) খেলার পরিকল্পনা করেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। আগামী অক্টোবর থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার আগ পর্যন্ত ধাপে ধাপে এসব ম্যাচ খেলবে তারা। এর মধ্যে এশিয়ার দুই শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এছাড়া আফ্রিকা ও ইউরোপের দলগুলোর সঙ্গেও প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাইছে সেলেসাওরা।

ব্রাজিলের প্রখ্যাত ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো স্পোর্ত’ জানিয়েছে, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে মৌখিকভাবে প্রীতি ম্যাচে খেলার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এখন চলছে বাণিজ্যিক চুক্তি ও আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ। সব ঠিক থাকলে ১০ অক্টোবর সিওলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এবং ১৪ অক্টোবর টোকিওতে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
২০২২ সালের বিশ্বকাপের আগেও একই দুই দলের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। সেবার সিওলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারানোর পাশাপাশি টোকিওতে জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তিতের দল।

অক্টোবরের এশিয়া সফরের পর নভেম্বর মাসে আফ্রিকার কোনো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ব্রাজিল। যদিও এখনো প্রতিপক্ষের নাম চূড়ান্ত হয়নি, তবে আফ্রিকার শীর্ষ পর্যায়ের কোনো দলকে বেছে নিতে চায় সিবিএফ।
আগামী বছরের মার্চে ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের সময়সূচি রাখা হয়েছে। এটি হবে ব্রাজিলের জন্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, কারণ ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে খেলে কৌশলগত ঘাটতি দূর করার সুযোগ মিলবে।

২০২৬ বিশ্বকাপ শুরুর আগে জুন মাসের শুরুতে আরও দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চায় ব্রাজিল। তবে এটি নির্ভর করছে কোচিং স্টাফের মতামতের ওপর। কার্লো আনচেলত্তি এবং তার সহকারীরা খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা, ক্লাব মৌসুম শেষে বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা ও চোটঝুঁকি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গ্লোবো স্পোর্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ছয়টি প্রীতি ম্যাচে মূলত বিশ্বকাপের সম্ভাব্য স্কোয়াড চূড়ান্ত করার কাজ এগিয়ে নেবে ব্রাজিল। তরুণ প্রতিভাদের পরীক্ষা ও অভিজ্ঞদের পারফরম্যান্স যাচাই হবে এই ম্যাচগুলোতেই।

বিশ্বকাপ জিতে মেসিরা যে অর্থ পেয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ীরা তার তিনগুণ পাবে

ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবেন ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার! অবশেষে মিলল মার্কিন ভিসা

 

ব্রাজিল ইতোমধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবুও আগামী মাসে বাছাইপর্বে শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে তারা। ৫ সেপ্টেম্বর রিও ডি জেনিরোতে চিলির বিপক্ষে মাঠে নামবে আনচেলত্তির দল, এরপর ১০ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলবে সেলেসাওরা। এই ম্যাচগুলোতেও নতুন কৌশল ও খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করার সুযোগ পাবে দলটি।

কার্লো আনচেলত্তি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্রাজিলের খেলার ধরনে নতুনত্ব এনেছেন। আক্রমণভাগে তরুণদের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রক্ষণভাগে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে তার লক্ষ্য হলো একটি সুষম স্কোয়াড তৈরি করা, যেখানে অভিজ্ঞতা ও তরুণ উদ্যম মিলেমিশে থাকবে। প্রীতি ম্যাচগুলো সেই লক্ষ্যে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রাজিলের সমর্থকদের জন্য এই প্রীতি ম্যাচগুলো কেবল প্রস্তুতি নয়, বরং নতুন তারকাদের দেখা এবং দলের অগ্রগতি বোঝার সুযোগ। কোরিয়া ও জাপানের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এশীয় ভক্তদের উচ্ছ্বাসও থাকবে তুঙ্গে।

আরও পড়ুন :

‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ কী বন্ধ হচ্ছে? যা জানালেন রচনা ব্যানার্জি

ক্যামেরা বিক্রি করে সন্তানদের জন্য রুটি জোগাচ্ছেন গাজার সাংবাদিক

ad

আরও পড়ুন: