HappyBirthdayMessi
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : আজ ২৪ জুন ২০২৫, জন্মদিন লিওনেল মেসির (HappyBirthdayMessi)। আর্জেন্টিনার এই ফুটবল জাদুকর পা রাখলেন ৩৮ বছরে। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে তাঁর অর্জনের পরিমাণ এত বেশি যে, এককথায় বলা যায়—তিনি ‘একজন ফুটবলার নন, একটি অধ্যায়’।এখন এমবাপে, হাল্যান্ড, ইয়ামালদের যুগ। কিন্তু ফুটবলবিশ্ব বলছে, কিছু রেকর্ড হয়তো মেসির কাছেই থেকে যাবে, ভবিষ্যতের কারো পক্ষেই এগুলো ছোঁয়া কঠিন।
ক্লাব: বার্সেলোনা
️ সময়কাল: ২০০৪–২০২১
ম্যাচ সংখ্যা: ৭৭৮
⚽ গোল সংখ্যা: ৬৭২
এই যুগে যেখানে খেলোয়াড়রা ২-৩ বছর অন্তর ক্লাব বদলায়, সেখানে এক ক্লাবে ১৭ বছর খেলে এত গোল করা একপ্রকার অলৌকিক। এমবাপে বা ইয়ামাল যদি বার্সেলোনাতেই থাকেন, তবু ৬৭২ গোলে পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব।
বছরগুলো: ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১, ২০২৩
ব্যালন ডি’অর হলো ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বসেরার স্বীকৃতি। যেখানে রোনাল্ডোর সংখ্যা ৫, সেখানে মেসির ৮টি!
এমবাপে বা হাল্যান্ড একাধিক বার জিতলেও ৮-এ পৌঁছাতে হলে প্রায় ১৫ বছর শীর্ষ ফর্ম ধরে রাখা দরকার—যা বাস্তবে কঠিন।
রেকর্ড বছর: ২০১২
ম্যাচ সংখ্যা: ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে
⚽ গোল সংখ্যা: ৯১
এই রেকর্ড ভাঙার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৭-৮টি গোল করা প্রয়োজন। ক্লাব ফুটবলের কঠিন ফিক্সচার, চোট ও জাতীয় দলের চাপ মিলিয়ে এই কীর্তি মেসির জন্য একবারের স্বপ্ন হলেও অন্যদের জন্য প্রায় অলীক।
⚽ একজন সৃষ্টিশীল খেলোয়াড় হিসেবে এত বেশি অ্যাসিস্ট দেওয়া ফুটবলে বিরল।
অনেক খেলোয়াড় হয় গোলস্কোরার, কেউবা প্লেমেকার। কিন্তু মেসি—দুই ভূমিকাতেই শীর্ষে। অ্যাসিস্টের এই সংখ্যায় পৌঁছাতে হলে দীর্ঘসময় সেরা মানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে হবে এবং নিজেকে ধারাবাহিকভাবে উঁচু স্তরে রাখতে হবে। এটা করা কঠিন।
️ বছর: ২০১৪, ২০২২
পুরস্কার: বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল (টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়)
বিশ্বকাপে একবার ভালো খেলা কঠিন। কিন্তু দুবার ‘সেরা’ হওয়া—এমন রেকর্ড আর কারোরই নেই।
এমনকি পেলে, ম্যারাডোনা, রোনালদো কেউই পারেননি। একমাত্র মেসিই পারেনি শুধু দলকে জেতাতে নয়, নিজের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যকেও বারবার শীর্ষে রাখতে।
‘বুমরাহ কোহিনূর হীরার মতোই মূল্যবান’— প্রশংসার বন্যায় ভারতীয় পেস তারকা
শেষপর্যন্ত যুদ্ধবিরতি! ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষে আপাত ইতি, ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বিতর্ক
ফুটবলে কিছুই চূড়ান্ত নয়। হয়তো একদিন কোনো অলৌকিক প্রতিভা এই রেকর্ডগুলো ছুঁয়ে ফেলবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—এই রেকর্ডগুলো গড়তে মেসিকে লেগেছে ২০ বছরেরও বেশি সময়, এবং প্রতিটি রেকর্ড গড়ে তুলেছে ধারাবাহিকতা, নিষ্ঠা ও প্রতিভার অনন্য সংমিশ্রণ।
এমবাপে, ইয়ামাল বা হাল্যান্ডরা ভবিষ্যতের তারকা হলেও, এসব রেকর্ডের ধারে-কাছেও পৌঁছানো হবে তাঁদের ফুটবল জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন :
২০২৭ বিশ্বকাপে কোহলি-রোহিত থাকবেন তো? তরুণদের দাপটে ফিকে হচ্ছে দুই কিংবদন্তির সম্ভাবনা
“রাজ্যের স্কুলে বাধ্যতামূলক মুখ্যমন্ত্রীর বই! সাহিত্য না প্রচার? শিক্ষা মহলে বিতর্ক তুঙ্গে”