ClubWorldCup2025 TrumpBooed
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক | নিউ জার্সি : মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ফাইনাল ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। মাঠে একদিকে চেলসির জয়ের উল্লাস, অন্যদিকে রাজনৈতিক আবহে এক বিতর্কিত মুহূর্ত (ClubWorldCup2025 TrumpBooed) —মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বু’ বা বিদ্রূপ শুনতে হয় গ্যালারি থেকে।
ম্যাচ শেষে ট্রফি বিতরণী মঞ্চে যখন ট্রাম্প চেলসি অধিনায়ক রিস জেমসের হাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি তুলে দেন, তখন দর্শকের একাংশ তাঁকে প্রবলভাবে দুয়ো দেয়।
অ্যাড্রেনালিনে ভরপুর ফাইনালে চেলসি ৩-১ গোলে পিএসজিকে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ক্লাব বিশ্বকাপ জেতে। কোল পালমার পান সেরা খেলোয়াড়ের (গোল্ডেন বল) স্বীকৃতি। ম্যানেজার মরিসিও পোচেত্তিনোর এই জয়ে চেলসি আবারও ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল।
ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠে বসেই দেখবেন ট্রাম্প, ফিফার আমন্ত্রণে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে যাবেন প্রেসিডেন্ট
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: মার্কিন অর্থনীতিতে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে
ম্যাচ শেষে ট্রাম্প বিজয়ী খেলোয়াড়দের সাথে উল্লাসে যোগ দেন।
হাততালি,
হাই ফাইভ,
লাফিয়ে উল্লাস
—সবই ছিল ট্রাম্পের উৎসবের অংশ।
কিন্তু আনন্দময় মুহূর্তেও পলিটিকাল রিয়ালিটি ঢুকে পড়ে দৃশ্যপটে।
খেলা শেষে যখন ট্রাম্প মাঠে আসেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে, তখনই শুরু হয় ‘বু’ স্লোগান।
স্টেডিয়ামের কিছু অংশ থেকে ভেসে আসে অসন্তোষের আওয়াজ।
সাউন্ড সিস্টেমে গান চালিয়ে শব্দ চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়।
ক্যামেরা দ্রুত অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করে বিতর্ক এড়াতে চায়।
জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন স্ক্রিনে ট্রাম্পের স্যালুট দেওয়ার দৃশ্যও দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। কেউ হাততালি দেন, কেউ আবার দুয়ো দেন—এই বিভাজন ফুটে ওঠে আমেরিকার রাজনৈতিক বাস্তবতায়।
২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে ট্রাম্পের অবস্থান
ডোনাল্ড ট্রাম্প চান ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপকে আমেরিকার ক্রীড়া ইতিহাসে “গোল্ডেন এজ” হিসেবে তুলে ধরতে।
২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালও হবে এই মেটলাইফ স্টেডিয়ামেই।
ট্রাম্প চান, এই আন্তর্জাতিক আয়োজনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে এক “গ্লোবাল হোস্ট”-এর প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে।
তবে রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে তা যতটা গর্বের, ততটাই সমালোচনারও বিষয় হয়ে উঠেছে।
⚽ খেলোয়াড়দের প্রতি সৌজন্য অটুট
দুয়োর ভিড়ে ট্রাম্প থেমে থাকেননি।
বিজয়ী চেলসির পাশাপাশি তিনি পরাজিত পিএসজি খেলোয়াড়দের সঙ্গেও করমর্দন করেন।
কোল পালমারকে ‘গোল্ডেন বল’ পুরস্কার তুলে দেন।
ট্রফি বিতরণের পর তিনি বলেন—
“আমেরিকা ক্রীড়ায় নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।”
তিনি স্পষ্ট করে দেন, খেলাধুলাকে রাজনৈতিক বিভেদ থেকে দূরে রেখে সবাইকে এক করার মাধ্যম হিসেবেই দেখতে চান।
আরও পড়ুন :
“বড় হুমকির মুখে ইউরোপ”—সতর্ক করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ইতিহাস গড়ার ম্যাচে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স, মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মার্করাম