Breaking News

first one day match

আজ ক্রিকেটে স্মরণীয় দিন, মেলবোর্নে জন্ম হয়েছিল একদিনের ক্রিকেটের

একদিনের ক্রিকেটে জন্মটা হয়েছিল এসেজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ থেকে। এই দিনটা ছিল টেস্টের পঞ্চম দিন। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ রূপান্তরিত হয়ে গেল একদিনের ম্যাচের।৫৪ বছর আগে এই ৫ জানুয়ারি হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ। অ্যাসেজ সিরিজের দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের কাছে ছিল নিছক বিনোদনের ম্যাচ।

first one day match played on 5th January in Australia Melbourne%%sitename%%

1st One Day match

ক্লাউড টিভি ডেক্স : আজকের দিনটা ৫ জানুয়ারি। আজকের দিনে বিশ্ব ক্রিকেটে জন্ম নিয়েছিল একদিনের ক্রিকেট (first one day match)। সালটা ১৯৭১।
একদিনের ক্রিকেটে জন্মটা হয়েছিল এসেজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ থেকে। এই দিনটা ছিল টেস্টের পঞ্চম দিন। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ রূপান্তরিত হয়ে গেল একদিনের ম্যাচের।৫৪ বছর আগে এই ৫ জানুয়ারি হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ (first one day match)। অ্যাসেজ সিরিজের দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের কাছে ছিল নিছক বিনোদনের ম্যাচ।

প্রথম একদিনের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ছিল একটা গল্প। মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্টের আগে প্রথম দুটি টেস্ট ড্র হওয়ার জন্য শুরু হয়েছিল সমালোচনা। এর জন্য দায়ী করা হলো দুই অধিনায়কের কৌশলকে। দ্য গার্ডিয়ানের মতো পত্রিকার কলামে গ্র্যান্ড চেয়ারম্যানতো ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকেই অনিশ্চিতার মুখে দেখতে পাচ্ছিলেন।

তবে মেলবোর্ন টেস্ট শুরু মেলবোর্নের আকাশ থেকে অঝরে ঝরছিল বৃষ্টির ধারা। তিনদিন খেলাই হলো না। চিন্তিত মেলবোর্ন কর্তৃপক্ষ। তাদের তো প্রায় ৮০ হাজার পাউন্ড ক্ষতি হয়ে গেছে। এর জন্য দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড সিরিজ শেষ হওয়ার পর দুটি দলকে একটি একদিনের ম্যাচ খেলার জন্য আবেদন জানালো। অস্ট্রেলিয়া খেলতে রাজি হলেও ইংল্যান্ড দল কিছুটা গররাজি হল। তারা দাবি করলেন অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের। এ নিয়ে বোর্ডের সাথে খেলোয়ারদের বিবাদ শুরু হলো।
তবে শেষ পর্যন্ত দর্শকদের কথা বিবেচনা করে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা খেলতে রাজি হয়। এমসিসি তৃতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে একটি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে সম্মত হয়। খেলাটি হয় ইংল্যান্ড একাদশ এবং অস্ট্রেলিয়া একাদশ নামে। ম্যাচটি ছিল ৮ বলে ওভার এবং ৪০ ওভারের। স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হল টোবাকো কোম্পানি রথমেন্স। তারা দিল ম্যাচ সেরার পুরস্কার ৯০ পাউন্ড।
এই ম্যাচ ৪৫ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিতি ছিল, যেটা ছিল বেশ বিস্ময়কর।

ম্যাচ শুরুর আগে স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন আপনারা একটি ইতিহাস দেখতে চলেছেন।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড একাদশ করে ১৯০ রান। ওপেনার জন এডরিচ করেন সর্বোচ্চ রান ৮২।ওয়ানডে ক্রিকেটের এটিই প্রথম ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার আসলি ম্যালেট ও স্টাকপোল নেন তিনটি করে উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ এই রান ৪২ ওভারে করে নেয় ৫ উইকেটে। ফলে তারা ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে জিতে যায় ৫ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথ দেখান ইয়ান চ্যাপেল ও ডগ ওয়াল্টারস। ইংল্যান্ড অধিনায়ক রে ইলিংওয়াথ ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। এডরিচ ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন।

রবি শাস্ত্রীর এই প্রেসক্রিপশনে বদলে যাবে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা

আর কখনও সাদাদের সাথে নাও খেলতে পারেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma): সূত্র

ad

আরও পড়ুন: