IPLFinal2025
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএল ২০২৫-এর স্থগিত অংশ শুরু হয়েছে এই শনিবার, কিন্তু মাঠের বাইরের উত্তাপ এখন মাঠের উত্তেজনাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। বিসিসিআই-এর ঘোষিত নতুন নিয়মে (IPL 2025 RevisedRules) পড়ে বড়সড় আর্থিক ধাক্কা খেতে চলেছে আইপিএলের বহু ফ্র্যাঞ্চাইজি। কারণ, যেসব বিদেশি ক্রিকেটার আইপিএলের বাকি অংশে খেলার জন্য আসতে পারবেন না, তাদের বদলি হিসেবে যারা আসবেন—তাদের আর পরবর্তী মৌসুমে রিটেন করা যাবে না।
এই নিয়মে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালসের মতো জনপ্রিয় দলগুলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে দলগুলোকে নতুন করে নিলামে গিয়ে একই খেলোয়াড়দের পুনরায় দলে নিতে হবে, যার জন্য গুনতে হবে মোটা টাকা।
বিশেষত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কিছু ক্রিকেটার এবারের আইপিএলের স্থগিত অংশে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিরাপত্তা ও ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক ক্রিকেটার বেঁকে বসেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ার অনেকেই অনুপস্থিত থাকছেন এবারের দ্বিতীয় পর্বে।
এর ফলে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিপুল সংখ্যক বদলি খেলোয়াড় নিচ্ছে। তবে বিসিসিআই-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, এই খেলোয়াড়দের আগামী আইপিএলে রাখা যাবে না, বরং নিলামে তুলতে হবে। অথচ, স্থগিত হওয়ার আগে যাদের দলে নেওয়া হয়েছিল, তারা রিটেনযোগ্য।
উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলার জন্য যোগ দেওয়া বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানকে নতুন করে কিনতে হবে নিলাম থেকে। এমনকি তার পারফরম্যান্স ভালো হলেও, দল তাঁকে আগাম ধরে রাখতে পারবে না। অন্যদিকে, দিল্লির সেদিকুল্লাহ অতল বা বেঙ্গালুরুর মায়াঙ্ক আগরওয়াল, যারা স্থগিতের আগে যুক্ত হয়েছিলেন, তারা রিটেনযোগ্য থাকবেন।
আদিবাসী ক্রিকেটার ‘ঝাড়খন্ডের ক্রিস গেইল’ আইপিএলে এবার খেলবেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর পক্ষ থেকে বোর্ডের এই দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। দলগুলোর অভিযোগ, এই নিয়ম ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলবে এবং খেলোয়াড় নির্বাচনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাবে।
অন্যদিকে, বিসিসিআই জানিয়েছে, “নিয়মের উদ্দেশ্য হল স্বচ্ছতা এবং সাম্য বজায় রাখা। একটি অংশ স্থগিত হওয়ার পর পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ায় কিছু নিয়ম বদলানো হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুযোগ রয়েছে নতুন করে পরিকল্পনা করে খেলোয়াড় বাছাই করার।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই নিয়মে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেই দলগুলো যাদের নির্ভরযোগ্য বিদেশি ক্রিকেটাররা আসতে পারছেন না এবং যাদের দলে নতুন আসা খেলোয়াড় ভালো পারফর্ম করছেন। এই খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে না পারলে পরবর্তী মৌসুমে বাজেট বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
১৫ দিনে ৯ লক্ষ ভক্ত, প্রণামী উপচে পড়ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে – তৈরি হচ্ছে আরও ১০টি প্রণামী বাক্স