KohliInIPL
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক | শান্তিপ্রিয় রায় চৌধুরী : আইপিএলের উত্তেজনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। শেষ হয়ে গেছে লিগ পর্ব। শুরু হচ্ছে প্লে-অফের লড়াই। আর এই লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিরাট কোহলি—ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী নামগুলোর একটি, যিনি এখনও আইপিএল (KohliInIPL) শিরোপা জেতার স্বাদ পাননি।
আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। আর দ্বিতীয় ম্যাচে এলিমিনেটরে খেলবে গুজরাট টাইটান্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে নজর থাকবে সবচেয়ে বেশি কোহলির দিকেই।
শুধু ভারতেরই নয়, বিশ্বের কোটি ভক্তের একটাই প্রশ্ন—এইবার কি কোহলি পারবেন শিরোপা খরা ঘোচাতে?
বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ছুঁয়েছেন একের পর এক মাইলফলক। জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, নিজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে মুগ্ধ করেছেন ক্রিকেট বিশ্বকে। তবে আইপিএল শিরোপা তার ট্রফি ক্যাবিনেটে এখনও শূন্যস্থান হয়ে রয়ে গেছে।
তিনি আরসিবির হয়ে খেলছেন ২০০৮ সাল থেকে। তিনবার দল উঠেছে ফাইনালে (২০০৯, ২০১১, ২০১৬), কিন্তু একবারও জিততে পারেনি। বিশেষ করে ২০১৬ সালে তার অধিনায়কত্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও মাত্র ৮ রানে হেরেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে।
এবারের মৌসুমেও কোহলির ব্যাট জ্বলে উঠেছে। লিগ পর্বে ৫৬৩ রান করে রয়েছেন শীর্ষ রান সংগ্রাহকের দৌড়ে। তার স্ট্রাইক রেট ও গড়—দুইই চমৎকার। নেতৃত্ব ছাড়লেও মেন্টর হিসেবে দলের মূল অনুপ্রেরণা তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই ফর্ম ধরে রেখে ক্রাঞ্চ মুহূর্তে কি তিনি নিজের দলকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবেন?
বিরাট কোহলি ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে। শুধু ওয়ানডেতে তাকে এখনো দেখা যাবে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো আগামী ১–২ বছরের মধ্যেই পুরোপুরি বিদায়ের ঘোষণা দেবেন।
এই পটভূমিতে ২০২৫ সালের আইপিএল হয়ে উঠেছে তার জন্য এক “শেষ সুযোগ”—নিজের প্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটা এনে দেওয়ার। এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্লাবকে লড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার এই অধ্যায়ের যেন একটা ‘পারফেক্ট এন্ডিং’ হয়।
বিরাট কোহলির টেস্ট অবসর: হৃদয় ছুঁয়ে গেল কিংবদন্তিদের শ্রদ্ধা ও সমর্থনের বার্তা
আজ যদি আরসিবি পাঞ্জাবকে হারাতে পারে, তারা সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। তবে হারলেও তাদের হাতে থাকবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ—যেখানে প্রতিপক্ষ হবে এলিমিনেটর জয়ী দল।
সুতরাং আরসিবির সামনে রয়েছে অন্তত দুটি ম্যাচ। কোহলির জন্য এটা হতে পারে “আল্টিমেট রিডেম্পশন”-এর সুযোগ।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মাঠের গ্যালারি—সব জায়গায় এখন একটা সুর,
“এবার না হলে আর কবে?”
প্রতিবারই স্বপ্ন দেখিয়ে ভেঙে যাওয়া দলটি কি পারবে এবার ভাঙা মন গড়তে?
কোহলি নিজেও একাধিকবার বলেছেন,
“এই দল, এই জার্সি, এই শহর—সবকিছু আমার আত্মার অংশ। এখানেই আমি ট্রফি চাই।”
আরও পড়ুন :
বিদেশি নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি: মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপকারীদের প্রবেশে ‘না’
দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস, মিলেছে নতুন ৪ সাব-ভেরিয়েন্ট!