Breaking News

IPL Commentators Income

আইপিএল মাঠের বাইরেও কোটির খেলা! ধারাভাষ্যকারদের আয় শুনলে চোখ কপালে উঠবে

হিন্দি ধারাভাষ্যকারদের আয় তুলনায় কিছুটা কম হলেও আকাশ চোপড়া, রায়না, হরভজনের আয় কোটি টাকার উপরে

IPL Commentators Income: Who Earns the Most? %%page%% %%sep%% %%sitename%%

IPL Commentators Income

শান্তিপ্রিয় রায়চৌধুরী | ২৫ মে ২০২৫, কলকাতা : আইপিএল মানেই ক্রিকেটের মেগা উৎসব। মাঠের ভেতরে যেমন কোটি টাকার হিট-বাউন্ডারি, তেমনি মাঠের বাইরেও চলছে কোটি টাকার মাইক যুদ্ধ। যে মানুষগুলো খেলার মুহূর্তগুলোকে জীবন্ত করে তোলেন, সেই ধারাভাষ্যকাররাও এই ক্রিকেট কার্নিভ্যালে ছড়িয়ে দেন আলো, উত্তেজনা আর আবেগ। আর তাঁদের আয়? (IPL Commentators Income) তা শুনলে হয়তো আপনি চমকে উঠবেন।

সম্প্রতি  ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ প্রকাশ করেছে আইপিএলের নামী-দামি ধারাভাষ্যকারদের আয়সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। কে কেমন আয় করেন, কার চাহিদা কত বেশি—সবই উঠে এসেছে সেই তথ্যচিত্রে।

আইপিএলে এখন শুধু ইংরেজি নয়, হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও ধারাভাষ্য দেওয়া হয়। তবে ইংরেজি ধারাভাষ্যকারদের জন্যই broadcasters বা সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলোর চাহিদা সর্বোচ্চ। কারণ আন্তর্জাতিক দর্শক এবং বিজ্ঞাপনদাতারা ইংরেজি প্ল্যাটফর্মে বেশি সক্রিয় থাকেন। তাই ‘মাইক্রোফোন ম্যাজিশিয়ান’দের জন্য টাকার অঙ্কটাও বিশাল।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-এর রিপোর্ট বলছে, প্রতি ম্যাচে সিনিয়র ধারাভাষ্যকাররা পান ₹৬–১০ লাখ করে। মরশুম শেষে তাঁদের মোট আয় দাঁড়ায় কোটি টাকার উপরে। আর জুনিয়র ধারাভাষ্যকারদের বেতন ম্যাচপ্রতি ₹৩.৫ লাখের আশেপাশে।

সুনীল গাভাস্কার, কেভিন পিটারসন, ম্যাথিউ হেইডেন, ডেল স্টেইন, মার্ক নিকোলাস
➡️ ইংরেজিতে ধারাভাষ্য দিয়ে পান ₹৪.১৭ কোটি টাকা প্রতি মরশুমে।

হর্শা ভোগলে
➡️ বহু বছরের অভিজ্ঞতা ও তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণের জন্য তাঁকে দেওয়া হয় ₹৪.১ কোটি টাকা।

রবি শাস্ত্রী
➡️ ভারতের প্রাক্তন কোচ এখন ধারাভাষ্যে পূর্ণকালীন, পান ₹৪ কোটি টাকা প্রতি মরশুম।

আকাশ চোপড়া
➡️ ইংরেজি-হিন্দি দুই ভাষাতেই দক্ষ, পান ₹২.৯২ কোটি টাকা।

সঞ্জয় মঞ্জরেকর
➡️ ক্রিকেটার থেকে ধারাভাষ্যকার, পান ₹২.৮ কোটি টাকা।

সুরেশ রায়না
➡️ হিন্দি ধারাভাষ্যে নতুন তুখোড় মুখ, পান ₹২.৫ কোটি টাকা।

হরভজন সিং
➡️ জনপ্রিয়তা আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়, পান ₹১.৫ কোটি টাকা।

ইংরেজি ধারাভাষ্যকারদের আয় যেখানে ৪–৪.৫ কোটি, সেখানে হিন্দি ধারাভাষ্যকারদের আয় কিছুটা কম হলেও এখনও কয়েক কোটি টাকার মধ্যে। তবে যারা দুই ভাষাতেই পারদর্শী (যেমন আকাশ চোপড়া), তাঁদের চাহিদা বেশি এবং বেতনও সেভাবেই বেশি।
আঞ্চলিক ভাষাতেও ধারাভাষ্য করা হচ্ছে—বাংলা, তামিল, কন্নড়, মারাঠি ভাষাতেও ধারাভাষ্যকার নিয়োগ করে সম্প্রচার সংস্থা। তবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর বাজেট কিছুটা সীমিত।

আইপিএলের দর্শকসংখ্যা কোটির ওপর। প্রতি ম্যাচে হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন, স্পনসরশিপ, ব্রডকাস্টিং রাইট—সব কিছুর কেন্দ্রেই থাকে টেলিভিশনের পর্দা। আর সেই পর্দায় যিনি বললেন, “ছক্কা! গ্যালারিতে সোজা!”—তিনি হয়ে যান হাজারো দর্শকের প্রিয়।

তাঁদের কণ্ঠে ভর করেই ম্যাচের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে। তাছাড়া এদের অনেকেই আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁদের বিশ্লেষণ, কৌশল বোঝানোর ক্ষমতা দর্শকদের খেলায় আরও আকর্ষিত করে।

অনেক ধারাভাষ্যকার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথেও যুক্ত থাকেন। আইপিএল মরশুমে ধারাভাষ্যের ফাঁকে তাঁদের দেখা যায় বিজ্ঞাপনে, বিভিন্ন প্যানেল আলোচনায়, বিশ্লেষণমূলক শো-তে। সেখান থেকেও তাঁরা আলাদা আয় করেন। ফলে মরশুম শেষে একজন প্রতিষ্ঠিত ধারাভাষ্যকারের আয় ৫–৬ কোটি টাকার বেশি ছুঁতে পারে।

আরও পড়ুন :

কান উৎসব থেকে চমক! আবারও মা হতে চলেছেন আলিয়া ভাট? জল্পনায় তোলপাড় নেটদুনিয়া

মাইকেল শুমাখারের ঐতিহাসিক ফেরারি বিক্রি ১৮.১৭ মিলিয়ন ডলারে, এফওয়ান ইতিহাসে নতুন রেকর্ড

ad

আরও পড়ুন: