Breaking News

টেস্ট ক্রিকেট নতুন আইন প্রস্তাব

টেস্ট ক্রিকেট আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে যে প্রস্তাব দিলেন ইংলিশ অধিনায়ক

টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করতে নতুন বল, ইনজুরি বদলি ও লাল-হলুদ কার্ড চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক ইংলিশ তারকারা।

টেস্ট ক্রিকেটে নতুন আইন প্রস্তাব: নতুন বল, ইনজুরি বদলি ও কার্ড সিস্টেম

টেস্ট ক্রিকেট নতুন আইন প্রস্তাব

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট ক্রিকেটকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও দর্শকনন্দিত করতে নানা প্রস্তাব উঠে আসছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। সর্বশেষ আলোচনায় এলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্যার অ্যালিস্টার কুক। তার মতে, বলের নিয়মে পরিবর্তন আনলেই ম্যাচগুলো হবে আরও রোমাঞ্চকর। কুকের সঙ্গে এক আলোচনায় আরও প্রস্তাব দেন সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন, সাবেক কোচ ডেভিড লয়েড ও ফিল টাফনেল। তাদের প্রস্তাব নিয়ে এখন সরগরম ক্রিকেট মহল।

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, টেস্ট ক্রিকেটে প্রতি ৮০ ওভার শেষে দলগুলো নতুন বল নিতে পারে। তবে কুক চান নিয়মে বড় পরিবর্তন আসুক। তার প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতি ১৬০ ওভারে দুইবার নতুন বল নেওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে শর্ত হলো, দল চাইলে যেকোনো সময়ে নতুন বল নিতে পারবে।

দলিপ ট্রফি থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে বদলির নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে BCCI

৬৪ দল নিয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফাকে প্রস্তাব দিয়েছে কনমেবল

কুক ব্যাখ্যা করেন, “আপনার হাতে ১৬০ ওভারের জন্য দুটি নতুন বল থাকবে। চাইলে ৩০ ওভার পরও নিতে পারবেন। এতে ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখা সহজ হবে, ২০ উইকেট নেওয়ার সুযোগও বাড়বে। একইসঙ্গে কৌশলগত লড়াইয়ের মাত্রাও বাড়বে।”

সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন মনে করেন, ইনজুরির কারণে কোনো ম্যাচ যেন প্রতিযোগিতাহীন হয়ে না পড়ে। তার মতে, শুধু মাথায় আঘাতের জন্য নয়, অন্যান্য ইনজুরিতেও বিকল্প খেলোয়াড় ব্যবহারের নিয়ম থাকা উচিত।

তিনি উদাহরণ দেন, লর্ডসে রিশাভ পান্ত হাতের ইনজুরিতে ব্যাট করতে পারলেও কিপিং করতে পারেননি। তার পরিবর্তে যদি ধ্রুব জুরেল কিপিংয়ের দায়িত্ব নিতে পারতেন, তাহলে ম্যাচ আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। একইভাবে নাথান লায়ন অ্যাশেজে কাফ ইনজুরিতে পড়ে গিয়েছিলেন, ফলে পুরো ম্যাচে খেলতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে দলকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

সাবেক কোচ ও আম্পায়ার ডেভিড লয়েড দিয়েছেন এক অভিনব প্রস্তাব। ফুটবল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে লাল ও হলুদ কার্ড ব্যবহারের কথা বলেছেন।

লয়েড বলেন, “আম্পায়ারদের বলা হয় খেলোয়াড়দের বিরক্ত না করতে। অথচ মাঠে আম্পায়ারই হওয়া উচিত কর্তৃত্বের প্রতীক। যদি ইয়েলো বা রেড কার্ড দেওয়া হয়, তাহলে খেলোয়াড়রা শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে।”

এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে ক্রিকেট মহলে চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকেই মনে করছেন, টেস্ট ক্রিকেটে পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। ব্যাট-বল প্রতিযোগিতা বাড়াতে কুকের প্রস্তাব কার্যকর হতে পারে। তবে সমালোচকরা বলছেন, নতুন বল যেকোনো সময়ে নেওয়ার সুযোগ দিলে ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ অতিরিক্ত বেড়ে যাবে এবং খেলার স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

মাইকেল ভনের প্রস্তাবও সমর্থন পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইনজুরিতে বিকল্প খেলোয়াড় ব্যবহারের সুযোগ দিলে প্রতিযোগিতা বাড়বে, তবে এর অপব্যবহার ঠেকাতে কড়াকড়ি নীতি প্রয়োজন। অন্যদিকে, ডেভিড লয়েডের কার্ড প্রথা অনেকের কাছে আকর্ষণীয় হলেও ক্রিকেটের ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেট জনপ্রিয়তায় সীমিত হলেও এখনো এটি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। ম্যাচগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে নিয়মে পরিবর্তনের দাবি দীর্ঘদিনের। কুক, ভন ও লয়েডের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রস্তাব হয়তো ভবিষ্যতে আইন পরিবর্তনের আলোচনায় জায়গা পাবে।

আরও পড়ুন :

বিশ্বে প্রতি একশ মৃত্যুর মধ্যে একটি আত্মহত্যা, এগিয়ে এশিয়া

‘ধনকুবেরের চেয়ে শ্রমিক গুরুত্বপূর্ণ’ : যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সমাবেশ

ad

আরও পড়ুন: