মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫ আম্পায়ার রেফারি
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট বিশ্বে ঘটতে চলেছে এক নতুন ইতিহাস। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কিন্তু এবারের আসর শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, বরং ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন হতে চলেছে। কারণ, এবারের প্রতিযোগিতায় সব আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি থাকবেন মহিলা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই ঘোষণা দিয়েছে।
এক নজরে বিশ্বকাপ ২০২৫
তারিখ: ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৫
দল: ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা
ভেন্যু: একাধিক দেশীয় ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো
প্রথমবার: সব অফিসিয়াল নারী
মহিলা বিশ্বকাপে ছেলেদের থেকেও বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা করল আইসিসি
ফিডে মহিলা দাবা বিশ্বকাপে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ভারতের দিব্যা দেশমুখ
কারা থাকছেন দায়িত্বে?
ICC মোট ১৪ জন মহিলা আম্পায়ার এবং ৪ জন মহিলা ম্যাচ রেফারি মনোনীত করেছে।
ট্রুডি অ্যান্ডারসন
শান্দ্রে ফ্রিটজ
জি এস লক্ষ্মী (ভারত)
মিশেল পেরেইরা
আম্পায়ার প্যানেলে থাকছেন:
লরেন আজেনবাগ, কিম কটন, সারা দামবানেভানা, শাথিরা জাকির জেসি, ক্লেয়ার পলোসাক, নীনা জানানি, স্যু রেডফার্ন, ভৃন্দা রাঠি, এলোয়িস শেরিডান, জ্যাকলিন উইলিয়ামসসহ আরও কয়েকজন অভিজ্ঞ মহিলা আম্পায়ার।
এঁরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলা ও পুরুষ উভয় ক্রিকেটেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তবে এবারই প্রথম তারা একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পরিচালনার দায়িত্ব নিচ্ছেন।
কেন ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত?
এর আগে কমনওয়েলথ গেমস ও মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ মহিলা অফিসিয়াল দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার নজির তৈরি হয়েছিল। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ নেওয়া হলো।
ICC মনে করছে, এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র প্রতীকী পদক্ষেপ নয়; বরং বিশ্ব ক্রিকেটে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করার একটি স্পষ্ট উদাহরণ।
প্রাইজমানিতেও বাড়তি চমক
শুধু অফিসিয়াল নয়, এবারের মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রাইজমানিতেও বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কার এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি।
মোট অর্থ পুরস্কার আগের মহিলা বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
এমনকি পুরুষদের শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কিছু ক্ষেত্রেও প্রাইজমানিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দাবি করছে ICC।
এতে বোঝা যাচ্ছে, মহিলা ক্রিকেটকে আরও বড় মঞ্চে নিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, সব অফিসিয়াল নারী হওয়া মানে শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং এক মানসিক পরিবর্তনের সূচনা। আগে ক্রিকেটকে পুরুষতান্ত্রিক খেলা হিসেবে দেখা হতো। এখন ধীরে ধীরে ক্রিকেটের সবক্ষেত্রেই নারীদের সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আরও অনেক মহিলা আম্পায়ার ও রেফারির সামনে নতুন পথ খুলে যাবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হতে চলেছে। খেলোয়াড়রা মাঠে লড়াই করবেন, আর মাঠের বাইরে প্রথমবারের মতো সব কিছু পরিচালনা করবেন নারীরা। এভাবেই বদলে যাচ্ছে ক্রিকেটের চেহারা, বদলাচ্ছে ইতিহাস।
আরও পড়ুন :
ডিশ টিভি লঞ্চ করল VZY স্মার্ট টিভি, এক ডিভাইসে DTH ও OTT এর অভিজ্ঞতা