Breaking News

World Test XI After World War II

World Test XI After World War II : শচিন ও ক্যালিসকে ছাড়াই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব টেস্ট একাদশ

আইসিসি রেটিং সিস্টেমে তৈরি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব টেস্ট একাদশে নেই শচিন টেন্ডুলকার ও জ্যাক ক্যালিস। তবে ডন ব্র্যাডম্যান, গ্যারি সোবার্স, মুত্তিয়া মুরালিধরনরা জায়গা পেয়েছেন পরিসংখ্যানভিত্তিক এই তালিকায়।

World Test XI After World War II: No Sachin Tendulkar, No Jacques Kallis | ICC Ratings

World Test XI After World War II

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) রেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে তৈরি দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব টেস্ট একাদশ (World Test XI After World War II)। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখানে জায়গা হয়নি আধুনিক ক্রিকেটের দুই মহাতারকা শচিন টেন্ডুলকার ও জ্যাক ক্যালিসের। এমন তালিকা সামনে আসতেই সমর্থক মহলে তীব্র আলোচনার ঝড় উঠেছে।

১৯৮৭ সালে আইসিসি প্রথমবার প্লেয়ার রেটিং সিস্টেম চালু করে। কেবল রান বা উইকেটের পরিসংখ্যান নয়, বরং প্রতিপক্ষ দলের মান, ম্যাচ পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সকেও এতে মূল্যায়নের অংশ করা হয়। এই পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ স্কোর ১০০০ হলেও, ৯০০-র ওপরে পাওয়া খেলোয়াড়রাই আসল মহারথী হিসেবে ধরা হয়। অলরাউন্ডারদের ক্ষেত্রে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের রেটিং একত্রিত করে বিশেষ ফর্মুলায় হিসাব করা হয়। এর ফলে কেবল পরিসংখ্যান নয়, তুলনামূলক দক্ষতার নির্ভুল মূল্যায়ন পাওয়া যায়।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে উত্থান দীপ্তি শর্মার, বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে; ব্যাটিংয়ে এক ধাপ নামলেন স্মৃতি মান্ধানা

রোহিতের বিদায়ে ১২ বছর আগের কথা মনে পড়ছে টেন্ডুলকারের

 

এই বিশ্লেষণ অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডারের শুরুতেই রয়েছেন স্যার লেন হাটন, যিনি ৭৯ টেস্টে ৬৯৭১ রান করেছেন এবং রেটিং চার্টে শীর্ষস্থানে ছিলেন দীর্ঘ সময়। তাঁর সঙ্গী হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ভয়ঙ্কর ওপেনার ম্যাথু হেইডেন, যিনি ১০৩ টেস্টে করেছেন ৮৬২৫ রান। আর তিন নম্বরে রয়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, যিনি পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ ৯৬১ রেটিং—যা আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

মধ্যক্রমে রয়েছেন রিকি পন্টিং ও স্টিভ স্মিথ। পন্টিং কেবল অসাধারণ ব্যাটসম্যান নন, অধিনায়ক হিসেবেও ইতিহাসের সেরা নামগুলোর একটি। অন্যদিকে স্টিভ স্মিথ আধুনিক যুগের ক্রিকেটে ব্যাটিং নৈপুণ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

অলরাউন্ডারের জায়গায় অবধারিতভাবে রয়েছেন স্যার গ্যারি সোবার্স। ব্যাট হাতে ৮০৩২ রান এবং বল হাতে ২৩৫ উইকেট নেওয়া এই কিংবদন্তি সবসময়ই বহুমাত্রিক প্রতিভার প্রতীক। তাঁর উপস্থিতি তালিকায় কোনো বিতর্কই রাখেনি।

উইকেটকিপার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। যদিও তাঁকে মূলত ব্যাটিংয়ের জন্য বেশি সমাদৃত করা হয়, কিন্তু উইকেটকিপিংয়ের দক্ষতাও তাঁকে এই দলে জায়গা দিয়েছে।

বোলিং আক্রমণে আছেন তিনজন পেসার ও একজন স্পিনার। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান, বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান নেতা প্যাট কামিন্স এবং কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা পেস আক্রমণকে শক্তিশালী করেছেন। অন্যদিকে স্পিন আক্রমণে মুত্তিয়া মুরালিধরনই স্বাভাবিকভাবেই একক প্রতীক, যিনি টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ৮০০ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের শীর্ষে রয়েছেন।

তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন শচিন টেন্ডুলকার ও জ্যাক ক্যালিসের অনুপস্থিতি দেখে। শচিনের ব্যাটিং গড়, রানসংখ্যা এবং বিশ্বজুড়ে প্রভাব তাঁকে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে রেখেছে। ক্যালিসের মতো পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডারও আধুনিক ক্রিকেটে আর দেখা যায়নি। তবু আইসিসি রেটিংয়ের কঠোর পরিসংখ্যানভিত্তিক মানদণ্ডে তাঁরা জায়গা পাননি।

ফলে এই তালিকা প্রমাণ করে দেয় যে ক্রিকেট কেবল আবেগের খেলা নয়, বরং পরিসংখ্যান ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে আসল কিংবদন্তিদের বাছাই করাও সম্ভব। তবে সমর্থকদের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়—সর্বকালের আসল সেরা একাদশ বেছে নিতে কি কেবল সংখ্যা যথেষ্ট, নাকি ক্রিকেটের আবেগও সমান গুরুত্বপূর্ণ?

আরও পড়ুন :

আবারও ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় ফুটবল

কুড়িয়ে পাওয়া বালিশে রক্তে লেখা ‘১১০৬২৫’, ডেলিভারি বয়ের বুদ্ধিতে বেঁচে গেলেন এক মহিলা

ad

আরও পড়ুন: