CricketRules2025
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসছে নতুন ধারা। টেস্ট এবং ওয়ানডে—উভয় ফরম্যাটেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়মে (CricketRules2025 ) পরিবর্তন আনছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগামী জুন ও জুলাই মাস থেকেই কার্যকর হবে নতুন এই নিয়মগুলো।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই শুরু হবে এই নিয়ম প্রয়োগ।
নতুন কনকাসন সাব রুল (Concussion Substitution):
২০২৫-২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে প্রথম ম্যাচেই (১৭ জুন, গল টেস্ট: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা) চালু হবে কনকাসন সাব নিয়ে কড়া নিয়ম।
মুখ্য পরিবর্তন (CricketRules2025 ):
এখন থেকে যেকোনো খেলোয়াড় কনকাসনে পড়লে, দলকে খেলা শুরুর আগে ম্যাচ রেফারির কাছে একটি নির্দিষ্ট তালিকা জমা দিতে হবে।
এই তালিকায় থাকতে হবে:
একজন ব্যাটার
একজন উইকেটরক্ষক
একজন পেসার
একজন স্পিনার
একজন অলরাউন্ডার
যদি ম্যাচ চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় আহত হন, তবে শুধুমাত্র সেই নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির খেলোয়াড় দিয়েই পরিবর্তন করা যাবে।
ব্যাটার আহত হলে পেসার নামানো যাবে না, স্পিনার আহত হলে অলরাউন্ডার দিয়ে চালানো যাবে না।
ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচ রেফারি, তিনি পরিস্থিতি যাচাই করে উপযুক্ত সাব নির্ধারণ করবেন।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এতদিন দুই প্রান্ত থেকে দুইটি নতুন বল দিয়ে প্রতিটি ইনিংস শুরু হতো, যেগুলো দিয়ে ২৫ ওভার করে খেলা হত। সেই নিয়মে আইসিসি এনেছে বড় পরিবর্তন।
নতুন নিয়ম:
প্রথম ৩৪ ওভার পর্যন্ত আগের মতোই দুই বল ব্যবহৃত হবে।
৩৫তম ওভার থেকে একটি মাত্র বলেই বাকি ১৬ ওভার খেলা হবে।
দুই বলের মধ্যে যেটি অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থায় থাকবে, সেটিই ৩৫ থেকে ৫০ ওভার পর্যন্ত ব্যবহৃত হবে।
বৃষ্টি বা অন্য কারণে যদি ইনিংস ২৫ ওভারের কম হয়, তবে পুরো ইনিংস শুধুমাত্র একটি বলেই খেলা হবে।
বল পরিবর্তনের নিয়মেও পরিবর্তন:
ইনিংস চলাকালে বল পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে,
তত ওভার খেলা হয়েছে এমন আরেকটি বলই দিতে হবে, নতুন বল নয়।
দুই বলের যেটি পরিত্যক্ত হয়েছে, সেটি প্রয়োজনে বিকল্প বল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরার নিয়মে কিছু ব্যাখ্যাগত পরিমার্জনা হবে।
ডিআরএস (Decision Review System) নেওয়ার সময়সীমা ও প্রক্রিয়াতেও আনা হচ্ছে কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন।
১৭ জুন ২০২৫: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, প্রথম টেস্ট – টেস্ট নিয়ম কার্যকর
২ জুলাই ২০২৫: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, প্রথম ওয়ানডে – ওয়ানডে নিয়ম কার্যকর
বিশ্লেষকদের মতে, কনকাসন সাব নিয়ে এই নিয়ন্ত্রণ খেলার ভারসাম্য বজায় রাখবে, এবং ওয়ানডেতে একটি বল ব্যবহারের ফলে রিভার্স সুইং ও স্পিনারদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আইসিসির নতুন নিয়মগুলোর লক্ষ্য—খেলার স্বচ্ছতা, ভারসাম্য এবং দর্শকদের জন্য আরও উপভোগ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। নতুন যুগের এই নিয়ম কি ক্রিকেটকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করবে? সময়ই বলবে!
আরও পড়ুন :
আইসিসি ক্রিকেটে আনছে বড় পরিবর্তন, টেস্ট ও ওয়ানডে—দুই ফরম্যাটেই নতুন নিয়ম