FIFAClubWorldCup TransferWindow
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপকে ঘিরে শুরু হয়ে গেছে উত্তেজনার পারদ। প্রথমবারের মতো ৩২ দলের বিশাল অংশগ্রহণে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা, যা শুরু হবে আগামী ১৪ জুন। এই বিশাল আয়োজনকে ঘিরে দলগুলো যাতে সঠিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে, সে লক্ষ্যে ফিফা ঘোষণা করেছে একটি বিশেষ ট্রান্সফার উইন্ডো।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এই বিশেষ ট্রান্সফার উইন্ডো চালু থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের স্কোয়াডে নতুন খেলোয়াড় যুক্ত করতে পারবে। শুধু বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ক্লাব নয়, বরং এই ট্রান্সফার উইন্ডো খোলা থাকবে সব ঘরোয়া ক্লাবের জন্যও, যা এক নতুন দৃষ্টান্ত।
ক্লাব বিশ্বকাপের মাঠ তৈরীর জন্য ফিফা ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: মার্কিন অর্থনীতিতে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব শেষ হওয়ার পর আরও একটি সীমিত সময়ের ‘ইন-কম্পিটিশন ট্রান্সফার উইন্ডো’ উন্মুক্ত থাকবে। ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে ক্লাবগুলো অতিরিক্ত খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। তবে এই সুযোগ নির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে এবং সীমিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য থাকবে।
এইবারের ক্লাব বিশ্বকাপে শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন দলই নয়, অংশগ্রহণকারী সব দলই পাবে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার। ফিফা চায়, এই অর্থ পুরস্কার যেন দলগুলোর কাঠামোগত উন্নয়নে সাহায্য করে। আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ থাকায় দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে জোর প্রস্তুতি।
ফিফা জানিয়েছে, এই বিশেষ ট্রান্সফার ব্যবস্থার পেছনে মূল লক্ষ্য হলো—ভিন্ন ভিন্ন ঘরোয়া লিগের মরসুম ও নিবন্ধন সময়সীমার পার্থক্য দূর করে একটি সমন্বিত কাঠামো তৈরি করা। এছাড়াও যেসব খেলোয়াড়ের চুক্তির মেয়াদ জুন-জুলাই মাসে শেষ হতে চলেছে, তাদের ট্রান্সফার ও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করাই ফিফার মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্ব ফুটবলে এই ট্রান্সফার সিদ্ধান্ত এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, সাধারণত বড় কোনো আন্তর্জাতিক ক্লাব প্রতিযোগিতার আগে এমনভাবে ট্রান্সফার উইন্ডো চালু করা হয়নি আগে।
ফিফার এই উদ্যোগে ক্লাবগুলো তাদের দলে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ইনজুরি বা অন্য কারণে অনুপস্থিত খেলোয়াড়দের জায়গায় বিকল্প নিশ্চিত করতে পারবে। এর ফলে বিশ্বকাপে খেলা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন :
রাতে ঘুমানোর সঠিক সময় কখন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমানোই শ্রেয়
কারা রাতে দুধ খাবেন না? বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি