DiamondHarbourFC
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : আই লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কলকাতা ফুটবল লিগের দল ডায়মন্ড হারবার এফসি (DiamondHarbourFC)। রাজনীতিবিদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা এই ক্লাব এবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিগ প্রতিযোগিতায় নিজের জায়গা করে নিতে মরিয়া। সেই লক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, ফুটবলার বাছাই থেকে শুরু করে শক্তিশালী স্কোয়াড গঠনের কাজ চলছে পুরোদমে।
সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার এফসি-র ম্যানেজমেন্ট ইতিমধ্যেই আইএসএল খেলা একাধিক অভিজ্ঞ ফুটবলারের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করেছে। দলকে প্রথম বছর থেকেই প্রতিযোগিতামূলক ও লড়াকু করে তুলতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
দলের এক ঘনিষ্ঠ কর্তা জানিয়েছেন, “আমরা নতুন হলেও লক্ষ্য একটাই—প্রতিটি ম্যাচে লড়াই করে জয় তুলে আনা। মাঠে ডায়মন্ড হারবারকে একটা আলাদা ছাপ রাখতে হবে। তাই নামী ফুটবলারদের পাশাপাশি, সম্ভাবনাময় তরুণদের দলে টানা হচ্ছে।”
এই প্রসঙ্গে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে মিডফিল্ডে। দলের অন্যতম লক্ষ্য, মাঝমাঠে সৃজনশীল ও অ্যাটাকিং ফুটবলারদের জায়গা করে দেওয়া। সেই দিকেই বড় এক পদক্ষেপ হতে পারে চানমারি এফসির মিজোরাম মিডফিল্ডার পল রামফাংজাউভা-কে সই করানো।
গত মরশুমে পল খেলেছেন ১১টি ম্যাচ, করেছেন ৫টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট। মিজোরামের এই তরুণ প্রতিভার বল কন্ট্রোল, পজিশনিং ও দূরপাল্লার শটে দক্ষতা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে ডায়মন্ড হারবারের স্কাউটিং টিমের। সব ঠিকঠাক চললে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি সই করতে পারেন নতুন ক্লাবের হয়ে।
তবে শুধু পল নন, আরও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা চলছে। ডিফেন্স ও গোলকিপিং বিভাগে অভিজ্ঞতা ও কৌশলের ভারসাম্য রাখতে চাইছে দল। কিছু বিদেশি ফুটবলারকেও নজরে রেখেছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট।
অনুশীলনের জন্য আলাদা হাই পারফরম্যান্স সেন্টার তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে ক্লাবের। খেলার মাঠে যতটা পারফরম্যান্স, মাঠের বাইরে সেই খেলোয়াড়দের কন্ডিশনিং, ফিটনেস ও মেন্টাল ট্রেনিং-এর দিকেও সমান জোর দেওয়া হচ্ছে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও কোচিং স্টাফদের বাছাই প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে।
ইউরোপ মাতাবে ইংল্যান্ড! আগামী মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় প্রিমিয়ার লিগের ৯ ক্লাব
দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস, মিলেছে নতুন ৪ সাব-ভেরিয়েন্ট!
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়মন্ড হারবার এফসি-র আই লিগে অভিষেক শুধু এক ক্লাবের কাহিনি নয়, বরং এটি বাংলার ফুটবলে এক নতুন যুগের সূচনা। একসময়ের অচেনা নাম এবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফুটবল মঞ্চে পা রাখতে চলেছে—আর তা একেবারে পরিকল্পিতভাবে, পরিকাঠামো ও স্কিল বেস গড়ে তুলে।
ডায়মন্ড হারবারের এই উত্থান বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। বড় দলগুলির ছায়া থেকে সরে এসে যদি এরা নিজেদের মতো করে স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলতে পারে, তাহলে বাংলার ফুটবলে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়বে, তেমনই ফুটবলারদের সামনে খুলে যাবে নতুন দরজা।
আরও পড়ুন :
স্কুল শিক্ষক, ঝাড়ুদার, বিক্রেতা—বিশ্বকাপে খেলছে এক ‘অসাধারণ’ দল: অকল্যান্ড সিটি এফসি
বাভুমার স্ত্রী ফিলা লোবি—বিল্ডার, সমাজসেবী, আর একাধিক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!