ইস্টবেঙ্গল বনাম ইউনাইটেড কলকাতা সিএফএল
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : কলকাতা ফুটবল লিগ (সিএফএল) সর্বদা বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ফুটবল লিগের এই আসরে প্রতিবছরই কলকাতার বড় ক্লাবগুলোর লড়াই সমর্থকদের ভরপুর আবেগ ও উত্তেজনা উপহার দেয়। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। বৃহস্পতিবার, কলকাতার ইস্টবেঙ্গল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইউনাইটেড কলকাতা ফুটবল ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সুপার সিক্স পর্বে দুর্দান্ত সূচনা করল ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে নামে। যদিও প্রথমার্ধে গোল পেতে কিছুটা সময় লেগেছিল, শেষ পর্যন্ত ৪৫ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত হওয়ার পর যোগ করা সময়েই গোল পান নাসিব রহমান। তার নির্ভুল শটে গোলকিপারের কোনো সুযোগ ছিল না। এর মাধ্যমে রেড অ্যান্ড গোল্ড ব্রিগেড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় এবং সেই লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে।
বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চাপ বাড়াতে থাকে তারা। সেই চাপের ফলেই ম্যাচের দ্বিতীয় গোল আসে। পিভি বিষ্ণু দারুণ এক সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন। এই গোলের পর ম্যাচ কার্যত ইস্টবেঙ্গলের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
২০২৯ সাল পর্যন্ত এফসি গোয়া থেকে জয় গুপ্তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো ইস্টবেঙ্গল
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন গ্রীক ফরোয়ার্ড ডায়ামান্টাকোস
তৃতীয় গোলটি আসে ম্যাচের শেষের দিকে। ভানলালপেকা গুইতে অসাধারণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্স ভেদ করে বল জালে জড়ান। এই গোল নিশ্চিত করে ইস্টবেঙ্গলের ৩-০ ব্যবধানের জয়। পুরো ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল মাঠে আধিপত্য বিস্তার করেছে, আর ইউনাইটেড কলকাতা কার্যত প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হয়েছে।
দিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপার সিক্স ম্যাচে, ডুরান্ড কাপ ২০২৫-এর ফাইনালিস্ট ডাইমন্ড হারবার এফসি ৪-০ ব্যবধানে সুরুচি সংঘকে হারিয়েছে। তাদের এই জয় লিগে অন্য দলগুলোর জন্য এক বড় বার্তা। সুপার সিক্সের প্রতিটি ম্যাচই এখানে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সামান্য পয়েন্ট হারালেই টেবিলের অবস্থান বদলে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, সুপার সিক্সে ওঠার আগে ইস্টবেঙ্গল গ্রুপ এ-তে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। ১১ ম্যাচে সাতটি জয় এবং ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা টেবিলের শীর্ষে ছিল। সেই ধারাবাহিকতাই তারা বজায় রেখেছে সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে। সমর্থকরা আশাবাদী, এই জয়ের ধারা বজায় রাখলে এ বছর লিগ শিরোপা ঘরে তুলতে পারবে ইস্টবেঙ্গল।
খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছাড়াও, কোচের কৌশলও প্রশংসার যোগ্য। প্রথমার্ধে কিছুটা ধীরগতির পর দ্বিতীয়ার্ধে দলের স্ট্র্যাটেজিতে যে পরিবর্তন আসে, সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে। নাসিব রহমান, পিভি বিষ্ণু এবং ভানলালপেকার গোল প্রমাণ করে, দলে শুধু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নয়, তরুণরাও সমানভাবে অবদান রাখছে।
সিএফএল সুপার সিক্স পর্বে প্রতিটি ম্যাচ এখন থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচে সমর্থকদের প্রত্যাশা আরও বাড়বে। দলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন :