FIFAWorldCup2026
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFAWorldCup2026) কে সামনে রেখে ক্লাব বিশ্বকাপ ছিল এক ধরনের টেস্ট ইভেন্ট। কিন্তু সেই পরীক্ষাতেই বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীষ্মের অসহনীয় দাবদাহে হাঁসফাঁস করেছেন ফুটবলাররা। মাঠে দেখা গেছে একাধিক জল পানের বিরতি, শারীরিক অস্বস্তি, গতি হারানো পারফরম্যান্স।
এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন—
“দিনের বেলায় ম্যাচগুলো ইনডোর, এয়ার-কন্ডিশনড স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ক্লাব বিশ্বকাপের বেশ কিছু ম্যাচে দেখা যায়, খেলার সময় গরমে খেলোয়াড়রা কষ্ট পাচ্ছেন। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রায়, গরম বাতাস আর উচ্চ আর্দ্রতায় ম্যাচ পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
“শুধু আমেরিকাতেই নয়, প্যারিস অলিম্পিক বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইভেন্টেও এই গরম এখন চিন্তার কারণ,” বলছেন ইনফান্তিনো।
বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেল ১৩ টি দেশ, চমক উজবেকিস্তান ও জর্ডন
ইনফান্তিনোর বিরুদ্ধে ‘নিষ্ঠুর খেলা’-র অভিযোগ, ফিফার নীতির সমালোচনায় ফুটবলারদের সংগঠন
২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে তিনটি দেশে—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। মোট ১৬টি শহরে খেলা হবে, যার মধ্যে:
যুক্তরাষ্ট্রে ১১টি শহর
কানাডায় ২টি (ভ্যানকুভার ও টরন্টো)
মেক্সিকোতে ৩টি
এই শহরগুলোর মধ্যে কানাডার ভ্যানকুভার তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা, যেখানে গ্রীষ্মেও তাপমাত্রা সহনীয় থাকে। ফিফা এখন ভাবছে—এই ধরনের শীতল শহরগুলোর ভেন্যুকে দিনে ব্যবহারের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ইনডোর ও আধা-ইনডোর (ডোম) স্টেডিয়াম রয়েছে, যেগুলোতে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় খেলা সম্ভব। ইনফান্তিনো বলেন,
“এই ধরণের ভেন্যুগুলোকে আমরা কাজে লাগাবো। এটা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও পারফরম্যান্সের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ফিফার পুনর্বিন্যাস ভাবনা
দিনের ম্যাচ ইনডোর ভেন্যুতে সরানো
সন্ধ্যার পর বড় ম্যাচ রাখা
অতিরিক্ত জল পানের বিরতির নিয়ম
প্রয়োজনে কিছু ম্যাচ উত্তর-মার্কিন শীতল শহরে স্থানান্তর
বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়ের ফিটনেস, দর্শকের স্বাচ্ছন্দ্য ও সম্প্রচারযোগ্যতা—সবদিক মাথায় রেখে ফিফা এখন রীতিমতো তাপ-পরিকল্পনায় ব্যস্ত।
আরও পড়ুন :
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার জো বার্নসের হাত ধরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ল ইতালি
মোহনবাগানের বিপক্ষে অভিষেক, এবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে এডমন্ড লালরিন্দিকা—নতুন নম্বর ১০