P Kannan
শান্তিপ্রিয় রায়চৌধুরী : ১৯৬৮ তে ইস্টবেঙ্গলের চোখে ধুলো দিয়ে নিশ্চিত কান্নানকে মুম্বাই থেকে তুলে এনেছিলেন মোহনবাগানের রিক্রুটার গজু বসু। এবার সেই গজুকেই ধোঁকা দিয়ে তার বাড়ি থেকে তুলে এনেছিলেন ১৯৬৯র ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক পিটার থঙ্গরাজ। ১৯৬৮ তে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কান্নান (P Kannan)। তাই তাকে ধরে রাখার জন্য কড়া পাহারায় রেখেছিলেন মোহনবাগানীরা। কিন্তু কান্নান মনের দিক থেকে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেয়ার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন। তাই থঙ্গরাজ অনেক আগে থেকেই কান্নানের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন।
মায়ের নামে নতুন পরিচয়ে প্রতীক! আনুষ্ঠানিকভাবে হলেন প্রতীক স্মিতা পাটিল
এদিকে দলবদল শুরুর বেশ কয়েকদিন আগে কান্নানকে (P Kannan) বেঙ্গালুরু থেকে তুলে এনে গজু বসু কড়া পাহারায় গৃহবন্দী করে রেখেছিলেন ভবানীপুরে শিশির ব্যানার্জীর বাড়িতে। তাই তার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল মোহনবাগান। কিন্তু থঙ্গরাজ যে তলে তলে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছেন সেটা টেরই পাননি গজু বাবুরা। মোহনবাগান যখন কান্নানের ব্যাপারে একেবারে একশ শতাংশ নিশ্চিত সেই সময় একদিন দুপুরে শিশির ব্যানার্জীর বাড়ির সামনে একটা গাড়ির হর্ন বেজে উঠলো। কান্নান (P Kannan) তখন স্নান সেরে হাফ প্যান্ট পরে, গেঞ্জি গায়ে খেতে বসেছিলেন। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলেন থঙ্গরাজ এসে গেছেন। তাই দ্রুত জানালার সামনে গিয়ে ইশারায় তাকে অপেক্ষা করতে বললেন। শিশির বাবুকে বললেন, আমার এক বন্ধু এসেছে তার সঙ্গে কথা বলে আসছি। গায়ে গেঞ্জি, পরনে হাফপ্যান্ট, পায়ে হাওয়াই চটি। তার ওপর এটো হাত। কান্নানের কথা বিশ্বাস করেছিলেন শিশির ব্যানার্জি। কিন্তু ভুল ভাঙলো যখন সেই গাড়ির হর্ন পরপর দু’বার বেজে উঠল। জানালার সামনে গিয়ে দেখলেন কান্নান (P Kannan) গাড়িতে উঠে বসে আছেন আর বাঁদিকে স্টিয়ারিং ধরে ডানহাতে তাকে টাটা জানাচ্ছেন পিটার থঙ্গরাজ। এভাবে কান্নানকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে মধুর প্রতিশোধ নিলেন ইস্টবেঙ্গল এর সর্বকালের অন্যতম সেরা অতন্দ্র প্রহরী থঙ্গরাজ।
#PKannan #AsianPele #Eastbengal #MohunBagan
আরও পড়ুন :
ফিগো-রোনালদোদের খুঁজে বের করা অরেলিও আর নেই
ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে সৎ ক্রিকেটার,আম্পায়ার আউট না দিলেও ১২ বার ছেড়েছেন পিচ !
Facebook : https://www.facebook.com/CloudtvNews
Instagram : https://www.instagram.com/cloudtvnews/
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS
Youtube: @cloud.tv24x7