Breaking News

LamineYamal

১৭ বছরেই ‘সুপারস্টার’! বার্সায় চোখ কপালে ওঠার মতো বেতন পাচ্ছেন ইয়ামাল

বার্সেলোনার শীর্ষ উপার্জনকারী খেলোয়াড়দের একজন ইয়ামাল, ২০২৪-২৫ মৌসুমে ১১ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট দিয়ে প্রভাব বিস্তার

LamineYamal: Rising Star of European Football %%page%% %%sep%% %%sitename%%

LamineYamal

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : মাত্র ১৭ বছর বয়সে এমন কীর্তি যে কেউ গড়তে পারে না। কিন্তু লামিন ইয়ামাল (LamineYamal) পারছেন, এবং কাতালান জায়ান্ট এফসি বার্সেলোনা তাকে সে মূল্যটুকুই দিচ্ছে। ইউরোপীয় ফুটবল দুনিয়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গার, যার নতুন চুক্তির শর্ত শুনে চোখ কপালে উঠেছে ফুটবলভক্তদের।

২০২৪-২৫ মৌসুমে বার্সেলোনার আক্রমণভাগের প্রাণ ছিলেন ইয়ামাল। তার পায়ের কারুকার্যে ঘরোয়া লিগসহ জিতেছে একাধিক শিরোপা। অভিজ্ঞদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি একেবারে নির্ভার খেলেছেন। বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক এমনকি মন্তব্য করেছেন—“এই বয়সে এতটা পরিপক্বতা আমি খুব কম ফুটবলারের মধ্যেই দেখেছি।”

ক্লাব ম্যানেজমেন্টও দেরি করেনি। মৌসুম শেষে ঘোষণা এসেছে নতুন চুক্তির, যার মেয়াদ ২০৩১ সাল পর্যন্ত।

ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ইয়ামাল প্রতি সপ্তাহে বেতন পাবেন ৩ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড, যা বার্ষিক হিসেবে দাঁড়ায় প্রায় ১৫ মিলিয়ন ইউরো। তবে, চুক্তিতে থাকা বোনাস ও পারফরম্যান্স ইনসেনটিভ মিলিয়ে এই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত।

ইউরোপের পাঁচটি শীর্ষ লীগে পাল্লা দিয়ে চলছে গোল করার লড়াই

মাওখানুতে হবে ‘উত্তর-পূর্বের বৃহত্তম’ স্টেডিয়াম

এই বেতন শুধু বার্সেলোনার ক্ষেত্রেই নয়, গোটা ইউরোপীয় ফুটবলে তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এমনকি বিশ্বের নামজাদা ক্লাবগুলির প্রথম একাদশে থাকা অনেক খেলোয়াড়ের বেতনকেও ছাড়িয়ে গেছে এই পরিমাণ।

সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো—ইয়ামালের নতুন চুক্তিতে বার্সেলোনা রেখেছে ১ বিলিয়ন ইউরো-র রিলিজ ক্লজ। অর্থাৎ, তার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই তাকে কিনতে হলে কোনো ক্লাবকে গুনতে হবে প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

এই রিলিজ ক্লজের মাধ্যমে বার্সেলোনা বার্তা দিতে চেয়েছে—“ইয়ামালকে হাতছাড়া করতে চাই না কোনও মূল্যে।” এমন রিলিজ ক্লজ এখন পর্যন্ত কেবলমাত্র লিওনেল মেসির সময়েই দেখা গিয়েছিল। এই তুলনাও ইয়ামালের প্রতি ক্লাবের বিশ্বাসের গভীরতা বোঝায়।

প্রথম একাদশে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই পাকা খেলোয়াড়ের মতো মাঠে নিজের ভূমিকা পালন করছেন ইয়ামাল। ডান দিক থেকে কাটা দিয়ে গোল তৈরি, নিখুঁত পাসিং এবং গতি তাকে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কে পরিণত করেছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে তার গোল সংখ্যা ১১টি এবং অ্যাসিস্ট ১৬টি—যা এক কিশোর ফুটবলারের জন্য অবিশ্বাস্য।

লা মাসিয়া অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা ইয়ামালকে ছোটবেলা থেকেই ঘিরে ছিল প্রত্যাশা। তবে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছুই দিয়েছেন তিনি। এখন তার কাছে ক্লাবের ভরসা শুধু ভবিষ্যতের তারকা নয়, বর্তমানের চালিকাশক্তিও

এই চুক্তি নিশ্চিত করছে, বার্সা পরবর্তী এক দশকের জন্য আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দেবে ইয়ামাল। মিডফিল্ডে গাভি, ডিফেন্সে আরাউহো ও কুন্দে—এবং আক্রমণে ইয়ামাল—এই তরুণ স্কোয়াডের উপরই ভরসা করে ক্লাব আবার ইউরোপ শাসন করতে চায়।

ad

আরও পড়ুন: