Breaking News

Gill Trolls British Journalist

গিলের তীব্র জবাব: সাংবাদিককে রসিকতা করে ট্রল, এজবাস্টনে ঐতিহাসিক জয়ে উজ্জ্বল ভারতের অধিনায়ক

শুধু মাঠে নয়, মাইক্রোফোনের সামনেও শুভমান গিলের নেতৃত্বের ছাপ স্পষ্ট। এজবাস্টনে ইতিহাস গড়ে সাংবাদিককে রসিকতায় জবাব দিয়ে জানিয়ে দিলেন— ভারত এখন শুধু খেলেই না, কথা বলতেও জানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।

Gill Trolls British Journalist with Quick Wit %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Gill Trolls British Journalist

ক্লাউড টিভি, ৮ জুলাই ২০২৫: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এজবাস্টনে ভারতীয় দলের ঐতিহাসিক জয়ের পর নজরে এলেন অধিনায়ক শুভমান গিল। শুধু অসাধারণ কৌশলী নেতৃত্বই নয়, সংবাদ সম্মেলনে তাঁর রসবোধ ও আত্মবিশ্বাসও নজর কাড়ল। ম্যাচপূর্ব ভবিষ্যদ্বাণী করে ভারতীয় দলের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করা এক ব্রিটিশ সাংবাদিককে রীতিমতো হাস্যরসের (Gill Trolls British Journalist) মাধ্যমে জবাব দিলেন গিল।

প্রথম টেস্টে ৫ উইকেটে হেরে সিরিজে পিছিয়ে ছিল ভারত। তবে দ্বিতীয় টেস্টে শুভমান গিলের নেতৃত্বে ভারতীয় দল ৩৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দেয় ক্রিকেটবিশ্বকে। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে রসিকতা করে গিল বলেন,
“আমার প্রিয় সাংবাদিককে দেখতে পাচ্ছি না, উনি কোথায়? আমি উনাকে দেখতে চেয়েছিলাম।”
তার এই মন্তব্যে হাসির রোল পড়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকলের মধ্যে। এটা একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাসের পরিচায়ক, তেমনই অনন্য কূটনৈতিক জবাব হিসেবেও ধরা হচ্ছে।

সারা টেন্ডুলকার না সারা আলি খান? জবাব দিলেন শুবমান গিল, জানালেন আসল সত্যি

এক সময় ছিলেন খামারের কৃষক, এখন তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে সুপারস্টার!

এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে ম্যাচের আগের ঘটনা। তখন ওই সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারতীয় দল কি আদৌ এজবাস্টনের মত ঐতিহাসিকভাবে কঠিন ভেন্যুতে ভালো পারফর্ম করতে পারবে? ইতিহাস বলছে, গত ৫৬ বছরে ভারত এই মাঠে মাত্র একবার জিতেছে। সেই তথ্যকে উড়িয়ে দিয়ে গিল বলেন,
“আমি ইতিহাস বা পরিসংখ্যান বেশি মানি না। আলাদা আলাদা সময়ের আলাদা দল থাকে। আমি বিশ্বাস করি এই দলটাই সেরা, যারা ইংল্যান্ডে এসে সিরিজ জিততে পারে।”

গিলের নেতৃত্বের প্রশংসা যেমন হচ্ছে, তেমনি তাঁর ক্রিকেট বিশ্লেষণ ও আত্মবিশ্বাসেরও মূল্যায়ন করছেন বিশ্লেষকরা। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গিল বলেন,
“আমাদের পেসাররা দুর্দান্ত ছিল। যেকোনো কন্ডিশনেই ২০ উইকেট নিতে পারার মতো বোলিং অ্যাটাক রয়েছে আমাদের হাতে। সিরাজ, আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ— সবাই ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত বোলিং করেছে।”

ব‍্যক্তিগত প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেন গিল। তিনি জানান,
“আমি আইপিএলের শেষ দিক থেকেই ইংল্যান্ড সফরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম। বাইরের কথায় কান দিই না। মাঠে কী করছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এজবাস্টনের এই জয় ভারতীয় দলের জন্য যেমন মনস্তাত্ত্বিক জয়, তেমনি শুভমান গিলের নেতৃত্বেরও নতুন অধ্যায়ের সূচনা। রোহিত শর্মার পর টেস্ট নেতৃত্বে এসে প্রথম সিরিজেই এত বড় জয় অর্জন গিলের জন্য বিশাল প্রাপ্তি।

যদিও সিরিজ এখনও বাকি রয়েছে, তবে দ্বিতীয় ম্যাচের পর আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে ভারত অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।
এই ম্যাচ প্রমাণ করে দিয়েছে— আত্মবিশ্বাস, সঠিক পরিকল্পনা ও সাহসী নেতৃত্ব থাকলে ইতিহাস বদলে দিতে সময় লাগে না।

আরও পড়ুন :

ডুরান্ড কাপ ২০২৫: ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ তালিকা, সময়সূচী ও ভেন্যু এক নজরে

ডুরান্ড কাপ ২০২৫: মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সময়সূচি, ম্যাচ তালিকা ও ভেন্যু বিস্তারিত

ad

আরও পড়ুন: