India vs Pakistan Asia Cup 2025
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপ ক্রিকেট শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে আগামী রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, যখন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ঘিরে ক্রিকেট বিশ্বে তৈরি হয়েছে অগাধ উত্তেজনা। এমন ম্যাচকে সামনে রেখেই পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আঘা ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সম্প্রতি পাকিস্তান সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী ও আফগানিস্তানকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে। ফাইনালে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে তারা ৭৫ রানের জয় তুলে নেয়। সেই ম্যাচে পাক স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। তিনি হ্যাটট্রিকসহ মোট ৫ উইকেট নেন। এছাড়া ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়েও দারুণ অবদান রাখেন। তাই পাকিস্তান অধিনায়ক মনে করছেন, এই ফর্ম নিয়ে তাদের দল এশিয়া কাপে অনেক দূর যেতে পারবে।
সালমান আলি আঘা সরাসরি মন্তব্য করেন—“এবার ভারতের কপালে দুঃখ আছে। আমরা পুরোপুরি তৈরি। দলের সবাই ফর্মে আছে।” তার কথায় স্পষ্ট, পাকিস্তান দল আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে অবস্থান করছে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি অনুযায়ী দল দুইজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামতে পারে। তার মতে, নেওয়াজ ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং—সব জায়গায় ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখেন।
তবে শুধু খেলোয়াড়দের ফর্ম নয়, উইকেট প্রসঙ্গেও মত দেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তিনি মনে করেন, দুবাইয়ের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব সহায়ক নয়। এখানে ১৪০ রান করলেই ম্যাচ জেতা সম্ভব। তাই রান সংগ্রহের চেয়ে বোলিংই হবে আসল অস্ত্র। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় এখানে লো-স্কোরিং ম্যাচ হবে। যে দল ভালো বল করবে তারাই জিতবে। আমাদের বোলাররা দারুণ ফর্মে আছে, আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
অন্যদিকে, ভারতও কিন্তু পিছিয়ে নেই। তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তাই ভারতীয় দলও বেশ শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। তবে পাকিস্তান অধিনায়কের বার্তা যেন ভারতীয় ড্রেসিংরুমে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।
আট দলের অংশগ্রহণে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এশিয়া কাপ, ফাইনাল ২১ সেপ্টেম্বর
রোহিত শর্মার উত্তরসূরি হিসেবে শুবমান গিলের উত্থান: ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন যুগের সূচনা
ক্রিকেট বোদ্ধারা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময়ই অন্যরকম আবেগ বহন করে। শুধু মাঠের ক্রিকেট নয়, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এই ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়। এজন্য দুই দলের খেলোয়াড়রা আলাদা প্রস্তুতি নেন। পাকিস্তান অধিনায়কের বক্তব্য প্রমাণ করে যে তারা এবার মানসিকভাবেও ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে।
তবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা অনেক। তাই ম্যাচে কে এগিয়ে থাকবে তা বলা এখনই কঠিন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ের উইকেটই নির্ধারণ করবে ম্যাচের ভাগ্য। যদি পাকিস্তানের মতো ভারতও বোলিংকে প্রাধান্য দেয়, তবে দর্শকরা দেখতে পাবে এক টানটান লড়াই।
সর্বোপরি, এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনা আকাশছোঁয়া। পাকিস্তান অধিনায়ক যখন ভারতের কপালে দুঃখের ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, তখন ভারতীয় শিবির নিশ্চয়ই পাল্টা জবাব দিতে চাইবে মাঠে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে। ১৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে তাই থাকবে নাটকীয়তা, আবেগ এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
আরও পড়ুন :
গত পাঁচ বছরে বিসিসিআই-এর আয় ১৪,৬২৭ কোটি টাকা, ব্যাংক ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকায়।