IndiaW AustraliaW Semi Final 2025
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট আজ ইতিহাস লিখল নাভি মুম্বাইয়ে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল তারা। ৩৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয় এনে দিলেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ ও হরমনপ্রীত কৌর।
এদিন জেমিমাহ খেললেন জীবনের সেরা ইনিংস। তিনি অপরাজিত ১৩৪ বলে ১২৭ রান করেন।তার ব্যাটে ছিল ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস এবং নিখুঁত ফুটওয়ার্ক।
এদিকে, ভারতীয় রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি।তবে স্মৃতি মন্ধানা দ্রুত আউট হলেও দল চাপে পড়ে না।কারণ, হরমন ও জেমিমাহ ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যান। হরমনপ্রীত কৌর খেলেছেন অধিনায়কোচিত ইনিংস।তিনি ৮৮ বলে ৮৯ রান করেন।তার শট নির্বাচন ছিল অসাধারণ।ফলস্বরূপ, ভারতের রানের গতি কখনও থেমে যায়নি। তৃতীয় উইকেটে তারা গড়েন জয়ের ভিত। ইনিংসের প্রতিটি অংশেই ফোকাস ছিল পরিষ্কার।বাউন্ডারি ও স্ট্রাইক রোটেশনে তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
ইতিহাসের এক ধাপ আগে দাঁড়িয়ে থেমে গেলেন মুল্ডার—৩৬৭ রানে অপরাজিত থেকেও ছাড়লেন বিশ্বরেকর্ডের হাতছানি !
পুরুষরা কি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে? গবেষণা বলছে, Y ক্রোমোজোম ক্ষয় পেতে পারে, তবে আছে বিকল্প সম্ভাবনা
মধ্য পর্যায়ে দীপ্তি শর্মা ২৪ রান করে দলের চাপ কমান।এরপর ঋচা ঘোষ করেন ২৬ রান।তারা দুজনই ম্যাচকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। শেষ সময়ে প্রয়োজনীয় রান তুলতে ভারত খুব বেশি সমস্যায় পড়েনি।এবং শেষ পর্যন্ত ৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে। পুরো স্টেডিয়াম দাঁড়িয়ে হাততালি দেয় মেয়েদের সাফল্যে।
এই জয়ে ভারতের মেয়েরা প্রমাণ করলেন বড় মঞ্চে তাদের সাহস এবং দক্ষতা। বিশেষ করে, জেমিমাহর ইনিংস দীর্ঘদিন মনে থাকবে। তাছাড়া, ক্রিকেট ইতিহাসে এটি ODI বিশ্বকাপ নক আউটে সর্বোচ্চ সফল রানচেজ।
অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে তোলেছিল ৩৩৮ রান। ফিবি লিচফিল্ড ৯৩ বলে ১১৯ রান করেন।এলিস পেরি ৭৭ এবং অ্যাশলি গার্ডনার ৬৫ রান যোগ করেন।
ভারতের বোলিং বিভাগ আজ কিছুটা চাপে ছিল। তবে তরুণ স্পিনার শ্রী চরনী নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ২ উইকেট নেন।দীপ্তি শর্মা নেন দুই উইকেট, তবে খরচান বেশি রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কিম গার্থ ও সাদারল্যান্ড দুই উইকেট করে নেন। তবে, তারা ভারতীয় ব্যাটারদের থামাতে পারেননি।
এই জয় ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য নতুন অধ্যায়। মেয়েদের খেলাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।এবং, এখন ভারত মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। ফাইনালে লক্ষ্য একটাই—বিশ্বকাপ জেতা।
হরমন ম্যাচ শেষে বলেন,
“এটি শুধু এক জয় নয়, এটি দেশের মেয়েদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।”
জেমিমাহ বলেন,
“আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। ব্যাট হাতে স্বাধীনতা নিয়ে খেলেছি।”
এখন দেশের আশা, মুম্বাইয়ের এই উত্তাপ ফাইনালেও জারি থাকবে। ফ্যানরাও উত্তেজনায় দিন গুনছে বড় দিনের অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন :