Breaking News

IPL controversy

IPL controversy : ভদ্রলোকের খেলায় বিতর্কিত যত ঘটনা

ক্রিকেটকে বলা হয়ে থাকে ভদ্রলোকের খেলা। কিন্তু IPL তার ধারে কাছে যায় না।

IPL Controversy: Moments That Shocked Fans %%page%% %%sep%% %%sitename%%

IPL controversy

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ক্রিকেটকে বলা হয়ে থাকে ভদ্রলোকের খেলা। কিন্তু আইপিএল (IPL controversy) তার ধারে কাছে যায় না। শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে নানা বিতর্কিত সব ঘটনা ঘটে গেছে। প্রত্যেক আসরই জন্ম দিয়েছে নানা সমালোচনার, সাক্ষী হয়েছিল বিতর্কিত সব ঘটনার। আইপিএলের বিতর্কিত এইসব ঘটনা নিয়েই এই প্রতিবেদন।

**শ্রীশান্তকে হরভজনের চড়:
২০০৮ সালের আইপিএল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন হরভজন সিং। ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের করমর্দনের সময় ঘটে বিপত্তি। হরভজনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্রীশান্ত, তবে সেই হাতে হাত না মিলিয়ে হঠাৎ শ্রীশান্তের গালে সজোরে চড় বসিয়ে দেন হরভজন । ম্যাচ ফি’র ১০০ শতাংশ জরিমানা করা হয় হরভজনকে।

**ললিত মোদীর অপসারণ:
বিসিসিআই ও ললিত মোদীর একান্ত প্রচেষ্টায় ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল আইপিএল। ললিত মোদী ছিলেন আইপিএলের তৎকালীন চেয়ারম্যান। যে মানুষটার হাত ধরে আইপিএলের যাত্রা, ২০১০ সালে আইপিএল এর ৩য় আসর চলাকালীন অর্থ সংগতি, বিদেশে অর্থ পাচার, বাজি ধরা, ঘুষ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে আইপিএল থেকে আজীবনের জন্যে নিষিদ্ধ করা হয় ললিত মোদীকে।

কলকাতা টিমে উপেক্ষিত সৌরভ গাঙ্গুলি:
২০০৮-১০ এই তিন আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন ঘরের ছেলে ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’ খ্যাত সৌরভ গাঙ্গুলি। টুর্নামেন্টের ১ম তিন আসরে দলটি ছিল চরম ব্যর্থ। ফলে ২০১১ সালের আইপিএল এর নিলামে তার প্রতি কোনো আগ্রহই দেখায়নি কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্ট। এই নিয়ে হয় প্রতিবাদ। ‘নো দাদা, নো কেকেআর’ প্ল্যাকার্ড হাতে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ করে প্রতিবাদকারীরা (IPL controversy)। ইডেন গার্ডেনে ভাটা পড়ে দর্শকের।

**চিয়ারলিডারের বিস্ফোরক মন্তব্য:
২০১১ সালে আইপিএল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে দক্ষিণ আফ্রিকার চিয়ারলিডার গ্যাব্রিয়েলা পাসকুয়ালোটো। তিনি জানান, ম্যাচ পরবর্তী উদযাপনে তাদের প্রতি ক্রিকেটারদের অসংগতিপূর্ণ আচরণ, অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন কিংবা যৌন হয়রানির চেষ্টা করা হয়।

** লুক পোমার্সবাকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মারপিটের অভিযোগ:
২০১২ সালে যৌন হয়রানি ও মারপিটের অভিযোগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় লুক পোমার্সবাককে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। হয়রানির শিকার সেই মহিলা জানান, লুক তাকে প্রথমে মদ্যপানের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লুক তার পিছু নেন। এক পর্যায়ে তার কক্ষে প্রবেশ করে তার সাথে অসভ্যতা করার চেষ্টা করেন।পরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মালিক বিজয় মালিয়া এক বিবৃতিতে জানান, তিনি আর আমাদের দলের কেউ নন। ফলে ঐ আসরে কোনো ম্যাচ না খেলেই নিজের দেশে ফিরে গিয়েছিলেন লুক (IPL controversy)।

আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি (IPL 2025 Schedule): কার খেলা কবে

৬৯, সূর্য সেন স্ট্রিটের ফেবারিট কেবিনে নেতাজিও আসতেন

**ওয়াংখেড় স্টেডিয়াম থেকে নিষিদ্ধ শাহরুখ খান:
২০১২ সালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান বলিউড বাদশা ও কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অন্যতম স্বত্তাধিকার শাহরুখ খান। নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাঠে প্রবেশ করতে যান তিনি। বাধা দেন নিরাপত্তা কর্মীরা। শাহরুখের বিরুদ্ধে ম্যাচ অফিসিয়াল এবং নিরাপত্তা কর্মীদের গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে। তাদের অভিযোগ সেই সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন শাহরুখ খান। যদিও পরবর্তিতে নেশাগ্রস্ত থাকার কথা অস্বীকার করে শাহরুখ। পরবর্তী ৫ বছরের জন্যে ওয়াংখেড়ে শাহরুখের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে মুম্বাই ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন।

**স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারী:
২০১৩ সালে দিল্লী পুলিশ ম্যাচ ফিক্সিং এর দায়ে এক বুকিকে আটক করে। বিশদ তদন্তে বের হয়ে আসে বলিউড অভিনেতা বিন্দু দারা সিং, আইপিএলের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালসের তিন খেলোয়াড় শ্রীশান্ত, অংকিত চাবান ও অজিত চান্দিলার নাম। পুলিশ ম্যাচ ফিক্সিং এবং বাজিতে সম্পৃক্ততা পায় রাজস্থান রয়্যালসের সহ-স্বত্তাধিকারী বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্র এবং চেন্নাই সুপার কিংসের স্বত্তাধিকার গুরুনাথ মায়াপ্পানের। গুরুনাথ মায়াপ্পান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের জামাতা। জামাতার এমন কর্মকান্ডে তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এন শ্রীনিবাসন। বাজিতে দুই দলের মালিকের সম্পৃক্ততার বিষয়টা দীর্ঘদিন তদন্তাধীন ছিল। ২০১৫ সালে আইপিএলের আসর শেষে পরবর্তী ২ বছরের জন্যে রাজস্থান রয়্যালস এবং চেন্নাই সুপার কিংসকে বহিষ্কার করা হয়। বাজিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ২ দলের ২ মালিক যথাক্রমে রাজ কুন্দ্র এবং গুরুনাথ মায়াপ্পানকে আজীবনের জন্যে বহিষ্কার করা হয় আইপিএল থেকে।

**বিরাট-গম্ভীর দ্বৈরথ:
তারা ২ জনই জাতীয় দলের সতীর্থ। আইপিএলেও নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ব্যাট করছিলেন বিরাট। লক্ষ্মিপতি বালাজির করা এক বলে আউট হয়ে সাজঘর ফিরছিলেন বিরাট। উদযাপনে ব্যস্ত ছিল কলকাতার খেলোয়াড়রা। কিছু একটা বলতে শুনেছিলেন বিরাট। তেড়ে যান গম্ভীরের দিকে। গম্ভীরও ধেয়ে আসে বিরাটের দিকে। ২ দলের দুই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ ছিল সেই আসরের অন্যতম এক বিতর্কিত ঘটনা।

**নেস ওয়াদিয়ার বিরদ্ধে প্রীতি জিনতার অভিযোগ:
প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে ২০০৮ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের সহ মালিকানা কিনেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। কিন্তু ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক সম্পর্কে ভাটা পড়ে। ২০১৪ সালের আইপিএলে পাঞ্জাবের এক ম্যাচ চলাকালীন নেস ওয়াদিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতিকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠে। নেস ওয়াদিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতিকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয় এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন প্রীতি। কিছুদিন পরেই নেস ওয়াদিয়ার সাথে সম্পর্কের ইতি টানেন প্রীতি।

**ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারিতে আনুশকার পাশে বিরাট:
২০১৫ সালের আইপিএলের ৯ম আসরের ঘটনা। ব্যাঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের মুখোমুখি হয়েছিল বিরাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মাঠে বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুক্ষণের জন্যে বন্ধ ছিল। খেলোয়াড়দের সাজঘর সংলগ্ন পাশের ভিআইপি গ্যালারিতে ছিলেন আনুশকা শর্মা। হঠাৎ করেই সেখানে বিরাটের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ম্যাচ চলাকালীন কোনো খেলোয়াড়ের স্ত্রী বা বান্ধবীর সাথে দেখা করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিরাট এসবের তোয়াক্কা না করেই দেখা করে আনুশকার সাথে। যা ছিল নিয়ম বহির্ভূত (IPL controversy)।

Facebook : https://www.facebook.com/cloud.tv24x7
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS

ad

আরও পড়ুন: