Kolkata Football Legacy
শান্তিপ্রিয় রায় চৌধুরী: পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে দুই প্রধানের কর্মকর্তা ইস্টবেঙ্গলের জ্যোতিষ গুহ এবং মোহনবাগানের শুটেড বুটেড ধীরেন দের সামনে তাদের ব্যক্তিত্বের মুখোমুখি হওয়াটাই ছিল অনেক বড় ব্যাপার খেলোয়ারদের কাছে। তাদের সামনে দাঁড়ানোটাই খেলোয়াড়রা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতেন। মহমেডান স্পোর্টিং এর রান্ডোরিয়ানের কাছে পৌঁছানো সহজ ছিল না। তাও আবার সব সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত না। এখন তো কত সুবিধা। ফুটবল সচিবের সঙ্গে যখন তখন দেখা করে কথা বলতে পারেন। অভাব অভিযোগ জানাতে পারেন। এখন কোন কোন কোচ সেরা খেলোয়াড় ধরার বায়না করেন দলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য যত টাকা লাগুক। এই ব্যাপারটা তখন ছিল না। কোচ কোথায়? ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান এর কোচ তখন বকলমে জ্যোতিষ গুহ ও ধীরেন দে। বিলেতের অভিজ্ঞতা তারা কাজে লাগাতেন (Kolkata Football Legacy)। আর প্র্যাকটিসের সময় সময় সমানুবর্তিতায় এরা ছিলেন যেন এক একজন ইংরেজ। ঘড়ি ধরে দেখতেন কে কখন এলো বা প্র্যাকটিস শেষ করলো।
কলকাতার ফুটবলকে সমৃদ্ধ করতে হলে ভিন রাজ্যের তো বটেই ভিনদেশের খেলোয়াড় আনতে হবে জ্যোতিষ গুহ এ ধারণায় দৃঢ়বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলতেন বাইরের ভালো খেলোয়াড় এলে এ রাজ্যের ছেলেরা উপকৃত হবে,ফুটবল উপকৃত হবে, ওদের দেখে শিখবে। তাছাড়া কেবল স্থানীয় খেলোয়াড়ে ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হবে না। জাতীয় ফুটবলেও পিছিয়ে থাকবে।
তবে খেলোয়াড়দের টাকা-পয়সা দেয়ার ব্যাপারে জ্যোতিষ গুহ ও ধীরেন দে ছিলেন খুবই কঠোর (Kolkata Football Legacy)। খেলোয়াড়দের হাজার টাকা পাওয়াও ছিল তখন কল্পনাতীত। ফুটবল খেলে এক কপর্দক নেন নি চুনি গোস্বামী। তারা বলতেন মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে খেলবে, এখান থেকে জাতীয় দলের খেলবে এর চাইতে বড় কিছু হতে পারে ? তবে হ্যাঁ,খেলার সুবাদে তখন চাকরি মিলত। ব্যাংকে, রেলে,পোট কমিশনারে, সেন্ট্রাল এক্সাইজে, এয়ারলাইন্সে, পুলিশ, ডিফেন্স প্রভৃতিতে। তিন বড় ক্লাবের বড় কর্মকর্তারা চাকরি ব্যবস্থা করে দিতেন। মোটামুটি ভালো চাকরি। তারা বলতেন অ্যামেচার ফুটবলে আবার টাকা কেন? চাকরি পাচ্ছে, এটাই যথেষ্ট। টাকা চাওয়াতো বেআইনি। তবে কাউকে কাউকে কিছু টাকা দিতেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন :
সজনে ডাঁটা: প্রতিদিনের খাবারে রাখুন, মিলবে ৩০০-র বেশি রোগ প্রতিরোধের গুণ!
IPL 2025: আইপিএলে নতুন প্রযুক্তি, এলো কুকুরের মত একটি রোবোটিক ক্যামেরা!