LalitModi
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সহ-সভাপতি ও আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ললিত মোদীকে ১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন বা ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ (FEMA) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই জরিমানা ধার্য করা হয়। কিন্তু মোদী দাবি করেন, এই অর্থ আসলে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-কেই দিতে হবে, কারণ ওই সময় তিনি বোর্ডের পদে ছিলেন।
ললিত মোদী এই দাবিতে বোম্বে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু আদালত তার যুক্তি খারিজ করে দেয়। উলটে আদালতের সময় নষ্ট করা এবং বিসিসিআই-এর সম্মানহানির অভিযোগে তাকে অতিরিক্ত ১ লাখ টাকা জরিমানাও করে। এবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন মোদী।
বিসিসিআইই (BCCI) বিশ্বের ধনী ক্রিকেট বোর্ড, ধারে কাছে কেউ নেই
মোদীর কড়া বার্তা পাকিস্তানকে: “রক্ত ও জল একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না”
মোদীর যুক্তি, ইডি যে জরিমানা করেছে তা ব্যক্তিগতভাবে তার বিরুদ্ধে নয়, বরং তখনকার বোর্ডের কর্তা হিসেবে তার বিরুদ্ধে। ফলে বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী সেই জরিমানা বোর্ডকেই বহন করা উচিত। যদিও বোম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি এমএস সোনাক এবং জিতেন্দ্র জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ এই দাবি নস্যাৎ করে জানায়, ললিত মোদীর আবেদনে কোনও আইনগত ভিত্তি নেই।
শুনানিতে আদালত ২০০৫ সালের একটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তোলে, যেখানে বলা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড একটি স্বশাসিত সংস্থা, সংবিধানের ১২ নম্বর ধারার অধীনে কোনও রাজ্য বা রাষ্ট্রীয় সংস্থার মর্যাদা পায় না। অর্থাৎ, বিসিসিআই কোনো সরকারি বা ‘স্টেট’ সংস্থা নয়। তাই বোর্ডকে এমন কোনও দায়ে বাধ্য করা যায় না।
আদালত আরও মন্তব্য করে, মোদীর আবেদনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সময় অপচয় হয়েছে এবং এটা বিসিসিআই-এর ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভবিষ্যতে যেন এমন ভিত্তিহীন আবেদন না করেন, সেই জন্য ললিত মোদীকে সতর্ক করে আদালত।
তবে সুপ্রিম কোর্টে মোদীর এই নতুন আবেদনের শুনানির পরে বোঝা যাবে আদৌ তার যুক্তি মান্যতা পায় কিনা, নাকি আরও একবার খারিজ হবে তার দাবি। আইনি লড়াইয়ের এই পর্বে বিসিসিআই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
আরও পড়ুন :
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় নতুন লোকাল ট্রেন, ডায়মন্ড হারবার রুটে চলবে ২টি ট্রেন