SrinjoyDebashisDeal
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক: গত দেড় মাস ধরে মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচন ঘিরে যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছিল, অবশেষে তাতে ইতি পড়তে চলেছে। দুই প্রধান শিবির – দেবাশিস দত্ত গোষ্ঠী এবং সৃঞ্জয় বসু গোষ্ঠী – একত্রিতভাবে (SrinjoyDebashisDeal) একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র বলছে, রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতায়, বিশেষ করে নবান্ন-এর সক্রিয় হস্তক্ষেপে এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার বিকেলে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি অভিজাত ক্লাবে দুই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা—দেবাশিস ও সৃঞ্জয়—এক বৈঠকে বসেন। সেখানেই সব দ্বন্দ্ব ভুলে হাতে হাত মেলান দুই পক্ষ।
সবুজ-মেরুনে ভোটের হাওয়া, নির্বাচনী প্রচারে দেবাশিস দত্ত গোষ্ঠীর ‘গোলশ্রী’ ও ‘দুয়ারে মোহনবাগান’
নতুন কমিটির কাঠামো
নতুন কমিটির গঠন হবে দুই গোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রতিনিধিত্বে।
দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুর মধ্যে একজন হবেন সভাপতি, অপরজন সচিব।
পুরনো ‘ক্যাম্প ভিত্তিক’ চিন্তা সরিয়ে রেখে একসাথে কাজ করার বার্তা দিতে চান উভয়েই।
দুই পক্ষের তরফ থেকেই সমর্থকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, “মোহনবাগান ক্লাবের স্বার্থ সবার আগে”।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার (১১ জুন) দুই নেতা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মন্দিরতলা ক্লাব প্রাঙ্গণে।
মোহনবাগান ক্লাবের সংবিধানে এবার নতুন আইন সংযোজনের প্রস্তুতি চলছে।
বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে:
‘চেয়ারম্যান’ পদ সংযোজন, যেটি হবে মূলত আলঙ্কারিক ও গৌরবজনক
সভাপতি ও সচিব পদ থাকলেও, চেয়ারম্যান থাকবেন নির্বাচিত কমিটির উপরে মানসিক ও প্রভাবশালী অভিভাবকের মতো
এই মডেলটি অনেকটা আইএফএ-র চেয়ারম্যান পদের ধাঁচে, যেখানে চেয়ারম্যান বাস্তবে প্রতিদিনের কার্যকলাপে নাক গলান না, কিন্তু ক্লাবের অতীত ও ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন।
প্রাক্তন সভাপতি টুটু বসু, যিনি মোহনবাগান ক্লাবের দীর্ঘ ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী নাম, এবার সরাসরি প্রশাসনিক পদে না থাকলেও, চেয়ারম্যান পদে থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
শোনা যাচ্ছে:
টুটু বসুর দুই পুত্র (সম্ভবত সৃঞ্জয় ও অন্য একজন) নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন
টুটু বসু থাকবেন ক্লাবের ‘পৃষ্ঠপোষক’ ও ‘পথপ্রদর্শক’ রূপে
তাঁকে ঘিরে ক্লাবের পুরনো সদস্যদের মধ্যে গভীর আবেগ ও শ্রদ্ধা এখনও বর্তমান
সুতরাং, জমানা শেষ নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ টুটু বসুর ক্লাব জীবনের।
নবান্নের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হওয়ায়, প্রশ্ন উঠছে:
রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কী মোহনবাগান আরও প্রতিষ্ঠিত হবে প্রশাসনিকভাবে?
রাজনৈতিক ছায়া কি এবার থেকে ক্লাব প্রশাসনের উপর পড়বে আরও প্রবলভাবে?
তবে একাংশের মতে, “যদি এর ফলে ক্লাবের কাজ এগোয়, সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা হয়—তবে আপত্তির কিছু নেই।”
মোহনবাগান মানে শুধু এক ফুটবল ক্লাব নয়, এক আবেগ। দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাব প্রশাসনে যে দ্বন্দ্ব, বিভাজন, আদালত-মুখীতা চলছিল—তা সমাপ্তির পথে।
নতুন যৌথ নেতৃত্ব, নতুন পদ (চেয়ারম্যান), সংবিধান সংশোধন ও অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের সংমিশ্রণে মোহনবাগান ক্লাব আগামী দিনে কেমন চলে, এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন :
চীন থেকে বিপজ্জনক ছত্রাক চোরাচালান: মার্কিন তদন্তে উদ্বেগ, বিশেষজ্ঞদের মতে COVID-এর থেকেও বড় হুমকি
ফ্রিডম ফ্লোটিলা আটক: গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ ইসরায়েলি হস্তক্ষেপে থেমে গেল গাজার পথে