MessiClubWorldCup
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ হাতে তুলেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগও বহুবার জয় করেছেন। ঘরোয়া লিগ ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ৪৬টি ট্রফি ঘরে তুলেছেন লিওনেল মেসি। তবুও ফুটবলের এই জীবন্ত কিংবদন্তির কাছে জয়ের তৃষ্ণা এখনও মেটেনি। এবার তাঁর সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ (MessiClubWorldCup) —২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ।
ইতিহাসে এই প্রতিযোগিতা আরও একবার হলেও জিতেছেন তিনি—২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে। কিন্তু তখনকার ফরম্যাটে অংশগ্রহণ করত ৭টি দল, প্রতিযোগিতার তীব্রতা তুলনামূলক কম ছিল। এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ একেবারে ভিন্ন।
নতুন ফরম্যাটে ৩২টি দল অংশ নিচ্ছে, অনেকটা ফিফা বিশ্বকাপের আদলে। বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো, চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ীরা, এবং অঞ্চল ভিত্তিক শীর্ষ দলগুলো এবার মাঠে নামবে একে অপরের বিরুদ্ধে। এই কারণেই এবারের টুর্নামেন্টকে অনন্য বলে মনে করছেন মেসি।
ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন:
“এটি একটি অসাধারণ টুর্নামেন্ট। এখানে খেলতে পারার সুযোগ পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আমার আগের দলগুলোর হয়ে খেলার সময়ের চেয়ে এবারের প্রত্যাশা ভিন্ন, কিন্তু আমি বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মুখিয়ে আছি এবং ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।”
ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে নামার অভিজ্ঞতা বার্সেলোনার চেয়ে আলাদা হলেও মেসির মানসিকতা বদলায়নি। ম্যাচ জেতা, ট্রফি জেতা এবং দলকে উজ্জীবিত রাখার কাজটা এখনও নিজের কাঁধেই তুলে নিচ্ছেন তিনি।
শনিবার সকালেই শুরু হচ্ছে ইন্টার মায়ামির অভিযান, প্রথম ম্যাচেই তাদের মুখোমুখি হতে হবে আফ্রিকার অন্যতম সেরা ক্লাব মিশরের আল আহলি-র। আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আল আহলি এই প্রতিযোগিতায় নতুন শক্তি হিসেবে উঠে আসছে, ফলে প্রথম ম্যাচ থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন মেসিরা।
চিলিকে হারিয়ে শীর্ষস্থানে থেকেই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা, আমেরিকান মাটিতে ‘ট্যাঙ্গো’র প্রস্তুতি চূড়ান্ত
মেসির মতে, এই টুর্নামেন্ট কেবল ইউরোপীয় দলগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য ভাঙার সুযোগ নয়, বরং লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার ক্লাবগুলোর জন্য নিজেদের প্রমাণ করার বিরল সুযোগ।
তিনি বলেন,
“লাতিন আমেরিকার ক্লাবগুলো এই প্রতিযোগিতায় ইউরোপের পাওয়ারহাউসগুলোর বিপক্ষে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে পারবে, যা এক দারুণ অভিজ্ঞতা।”
মেসির ঝুলিতে ইতিমধ্যে রয়েছে ৪৬টি ট্রফি। এমনকি, ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ফুটবলারের তালিকায় তিনি শীর্ষে। অনেকের মতে, এই ক্লাব বিশ্বকাপ জয় করলে তিনি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে একেবারে চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছবেন।
তবে এবারের মিশন আরও কঠিন। কারণ, ইন্টার মায়ামি মেসির বার্সেলোনার মতো শক্তিশালী দল নয়। কিন্তু মেসি আছেন বলেই ফুটবলবিশ্ব বিশ্বাস করছে, অসম্ভবও সম্ভব।
আরও পড়ুন :
৪টি ফ্রি টিকিট দিয়েও মেসিদের ম্যাচে দর্শক টানতে পারছে না ফিফা!