70's Kolkata Football
শান্তিপ্রিয় রায়চৌধুরী: ১৯৬৬ সাল থেকে কলকাতার তিন প্রধানই বাইরের ফুটবলার আনার দিকে নজর দিল (70’s Kolkata Football)। মহমেডান স্পোর্টিং হাফ ব্যাকে নিয়ে এল কেরালা থেকে এসপি সালামকে। ফরওয়ার্ডে মাদ্রাজ থেকে এসপি লাওনেলকে, বোম্বাই থেকে আব্দুল্লা, কেরালা থেকে রশিদ এবং অন্ধ্র থেকে এলেন সালে।
এবার দলবদল ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তুখবরের কাগজে এর কোন গুরুত্ব নেই। কিন্তু ময়দানের ট্যাবলেট সাইজের গড়ের মাঠ, খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম, অলিম্পিক প্রভৃতি মরসুমি খেলার ম্যাগাজিনে বেশ গরম গরম খবর। আনন্দবাজার, যুগান্তরে একটি খবর বের হল ছোট্ট করে (70’s Kolkata Football)। হেডিং হল মহীশুরের ফুটবল খেলোয়াড় কান্নান কলকাতা এসেছেন। প্রতিদিন বিকালে মোহনবাগান ক্লাব তাবুতে হাজির হয়ে ক্লাবের অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে মেলামেশার আনন্দে মেতে উঠেছেন। আর এখন এই কান্নান এর মতন খেলোয়াড় কলকাতায় এলে হইচই পড়ে যেত। তবে বেশ বড় হেডিং হলো মোহনবাগানে অসীম মৌলিক। খবর মোট ১৪ লাইন। কদিন পর ছোট্ট হেডিং হলো কাজল মুখার্জিকে নিয়ে। উনি মোহনবাগান থেকে ইস্টার্ন রেলে ফিরে গেছেন। বিহারের চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ যে ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগানে গেলেন, তাতে খবর হলো মোহনবাগানে শিপ্রসাদ তারপর তিন লাইন।
অতীতের ময়দান: জ্যোতিষ গুহ থেকে ধীরেন দের সামনে তখন খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হওয়াটাই ছিল বিরাট ব্যাপার
ফুটবলের মজার ঘটনা : যুগ যুগ ধরে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে কত মজার ঘটনাই না ঘটেছে।
মোহনবাগান ভিন রাজ্যের কান্নানকে আনছে তা জ্যোতিষ গুহ জানতেন। একদা বার্ড কোম্পানির পদস্থ অফিসার এম এস বালার সহযোগিতায় পঞ্চপান্ডবদের এনেছিলেন জ্যোতিষ বাবু। কাউকে কাউকে চাকরিও দেন বার্ড কোম্পানিতেই। সেই পথিকৃৎ কি পিছিয়ে থাকেন? তিনি আনলেন সার্ভিসের ফরওয়ার্ড শামবাহাদুর থাপা, গুরকূপাল সিং ও কেবি শর্মাকে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে স্টপার সৈয়দ নাঈমুদ্দিন আর হাফব্যাকে আফজল এবং ফরওয়ার্ডে মোহাম্মদ হাবিব। এই সাত ফুটবলারকে বাইরে থেকে এনে একসঙ্গে সই করালেন। যুগান্তরে হেডিং হল ইস্টবেঙ্গলে সপ্তরথী। সার্ভিসেস থেকে অমর বাহাদুর অবশ্য শেষ পর্যন্ত আসেননি। এদের কেউ দল অদল বদল এর সময় গুরুত্ব পেলেন না সংবাদপত্রে সম্ভবত কেউ কেউ ফুটন্ত পুষ্প হলেও ফুটবল প্রেমীরা বুঝতে পারেননি ‘না দেখা ফুলের গন্ধ’। এদের আন্তরজ্য ছাড়পত্র প্রচার পায়নি। ১৯৬৬ তে আই এফ এ অদ্ভুত ফতেয়ায় সিদ্ধান্ত ছিল লীগে তিন বছর ওঠানামা বন্ধ (70’s Kolkata Football)। আর তা নিয়ে ১৫ মার্চ দল বদলে শেষ দিনে ধর্মতলা স্ট্রিটে আইএফএ অফিসের সামনে সেকি কাণ্ড। অন্তত পাঁচশ মানুষ মিছিল করে এলেন দাবি ফুটবল বাঁচাও । ওঠা নামা বন্ধ করা যাবে না। ফুটবলের স্বার্থে এমন মিছিল এই প্রথম ছিল।
#kolkatafootball #kolkataderby #EastBengal #Mohanbagan #70’sFootball
আরও পড়ুন :
Mr. Right-এর সঙ্গে এনগেজড ঋতাভরী! বললেন, ‘হ্যাঁ’—চিরদিনের ভালবাসার জন্য
কৌমার্য ভঙ্গ করে ঘর বাঁধছেন দিলীপ ঘোষ, পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার—রাজনীতির রণাঙ্গন ছেড়ে সংসারের ময়দান!