Breaking News

পিটি ঊষা প্লেকম ২০২৫

প্লেকম ২০২৫-এ ভারতীয় খেলাধুলায় সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন আইওএ সভাপতি পিটি ঊষা

প্লেকম ২০২৫-এ খেলাধুলায় সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও তৃণমূল পর্যায়ে বিপ্লবের আহ্বান জানালেন আইওএ সভাপতি পিটি ঊষা।

প্লেকম ২০২৫-এ পিটি ঊষার আহ্বান: ভারতীয় খেলাধুলায় সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ও তৃণমূল বিপ্লব

পিটি ঊষা প্লেকম ২০২৫

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের কিংবদন্তি অ্যাথলিট এবং ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) প্রথম মহিলা সভাপতি পিটি ঊষা প্লেকম ২০২৫-এ দিল্লির ভারত মন্ডপে আবেগঘন ভাষণ রাখলেন। তিনি বলেন, দেশের ক্রীড়া ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তৃণমূল পর্যায়ে বিপ্লবী পরিবর্তনের উপর। একইসঙ্গে খেলাধুলায় সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি।

এই সম্মেলনটি আয়োজন করেছে স্পোর্টস্টার এবং কেপিএমজি ইন্ডিয়া। বক্তব্যের শুরুতে ঊষা কৃতজ্ঞতা জানান আয়োজকদের। তিনি বলেন, “স্পোর্টস্টার কয়েক দশক ধরে ভারতীয় ক্রীড়ার একটি আইকনিক নাম। আমি একাধিকবার এই প্ল্যাটফর্মে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি।”

এরপর নিজের শৈশবের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেরালার পায়োলি গ্রামে বেড়ে ওঠা ঊষা বলেন, “আমার সময়ে কোনো স্টেডিয়াম, উন্নত জুতা বা বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ ছিল না। আমি খালি পায়ে অসমান মাঠে দৌড়াতাম। শুধুমাত্র আনন্দ আর স্বপ্ন আমাকে চালিত করত।”

১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিককে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। ৪০০ মিটার হার্ডলসে তিনি অল্পের জন্য পদক হারান। তবু সেটিকে তিনি নিজের সাফল্যের প্রতীক হিসেবে দেখেন। “এটা প্রমাণ করেছে ভারতীয় নারীও বিশ্বের সেরাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে,” বলেন ঊষা।

ভারতের ‘কালাদান’ প্রজেক্ট: বাংলাদেশের উপর নির্ভরতা ছেড়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছনোর নতুন রাস্তা

অলিম্পিক খেলাধুলায় ভারতকে উন্নত করতে অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই সাহায্য করতে পারে: স্টিভ ওয়াহ

তিনি আরও বলেন, খেলাধুলা শুধু শরীরের পরীক্ষা নয়, আত্মারও পরীক্ষা। ধ্যানচাঁদের হকি, মিলখা সিংয়ের দৌড়, ক্রিকেটে ঐক্য, ব্যাডমিন্টন ও কুস্তির সাফল্য—এসবই ভারতীয় ক্রীড়ার পরিচয়। তবে ইতিহাসের স্মৃতিই যথেষ্ট নয়। ভবিষ্যতের সাফল্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে তৃণমূল পর্যায়ে।

পিটি ঊষার মতে, প্রতিভা কেবল বড় শহরে সীমাবদ্ধ নয়। গ্রামাঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অসংখ্য সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। খালি পায়ে দৌড়ানো শিশু, উঠোনে কাবাডি খেলা মেয়ে, কিংবা মাঠে ভার তোলা ছেলে—এরা সবাই সুযোগ পেলে বড় হতে পারে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই শিশুদের দরকার শুধু সঠিক প্রশিক্ষণ, পুষ্টি, পরিকাঠামো এবং উৎসাহ। বাবা-মা এবং শিক্ষকেরাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

ভাষণের শেষে তিনি একটি আবেগঘন বার্তা দেন—“একজন ক্রীড়াবিদ জাতিকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। কিন্তু খেলাধুলা যদি জাতির সংস্কৃতির অংশ হয়, তবে পুরো বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।” তিনি চান ভারতের প্রতিটি শিশু যেন খেলাধুলার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও বড় স্বপ্ন দেখার সাহস অর্জন করে।

পিটি ঊষার এই আহ্বান নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছে ক্রীড়ামহল। কারণ তিনি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন—সঠিক সুযোগ পেলে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরাও বিশ্বমঞ্চে ইতিহাস গড়তে পারেন।

আরও পড়ুন :

ইতিহাস গড়লেন সুশীলা কারকি, নেপালের প্রথম মহিলা অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিক ভিসা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে বিতর্ক

ad

আরও পড়ুন: