Breaking News

PalestineFootball SuleimanObeid

প্যালেস্টাইনের ‘পেলে’কে গুলি করে হত্যা করল ইজরায়েল

গাজার রক্তাক্ত বাস্তবতার মধ্যে আরেকটি মর্মান্তিক অধ্যায়—ইজরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালেন প্যালেস্টাইন ফুটবলের কিংবদন্তি সুলেমান ওবেইদ। তাঁকে ডাকা হতো ‘প্যালেস্টাইনের পেলে’ নামে। মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষা করার সময়েই চলে গেল জীবন। ফুটবল শুধু খেলা নয়, প্যালেস্টাইনে তা ছিল প্রতিরোধের প্রতীক।

PalestineFootball SuleimanObeid: A Tragic Loss %%page%% %%sep%% %%sitename%%

PalestineFootball SuleimanObeid

ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ইজরায়েলি আগ্রাসনের নতুন শিকার ফিলিস্তিনের কিংবদন্তি ফুটবলার সুলেমান ওবেইদ। প্যালেস্টাইনের জাতীয় ফুটবল দলের এই প্রাক্তন সদস্যকে গাজা শহরে গুলি করে হত্যা করেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। ৪১ বছর বয়সী এই ক্রীড়াবিদের (PalestineFootball SuleimanObeid) মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে প্যালেস্টাইন তথা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে।

ওবেইদকে প্যালেস্টাইনের পেলে নামে অভিহিত করা হতো। জাতীয় দলে তাঁর অবদান, মাঠে নেতৃত্ব ও ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল ঈর্ষণীয়। বুধবারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। স্প্যানিশ দৈনিক ‘Marca’ গাজা-স্থিত চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করে।

প্যালেস্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওবেইদ মানবিক ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এটি শুধুই একটি ক্রীড়াবিদের হত্যা নয়, বরং একটি প্রতীকী প্রতিরোধকেই নিধন করল দখলদার বাহিনী।”

সুলেমান ওবেইদের ফুটবল-জীবন শুরু হয় গাজার ক্লাব শাবাব আল-শাতি থেকে। পরবর্তীতে তিনি পশ্চিম তীরের আল-আমারি ক্লাবে যোগ দেন এবং সেখান থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পান। তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত আসে ২০১০ সালের ওয়েস্ট এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে, যেখানে তিনি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন।

২০১২ সালের এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও জাতীয় দলের অংশ ছিলেন ওবেইদ। তাঁর ক্রীড়া-জীবন শুধুই সাফল্যে নয়, প্যালেস্টাইনের তরুণদের অনুপ্রেরণার গল্প বলেছে।

ব্রাজিলের মতো দেশে বিদেশি কোচ কেন? প্রশ্ন প্রেসিডেন্ট লুলার

গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা ইজরায়েলের, অনাহারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

কিন্তু সুলেমান ওবেইদ একা নন। চলতি বছরেই ইজরায়েলি অভিযানে ৩৯ জন ক্রীড়াবিদ, স্কাউট ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধিকে হত্যা করা হয়েছে। প্যালেস্টাইন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৬০ জনেরও বেশি ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।

অন্যদিকে, গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ শিশু ও ক্রীড়াবিদ। ক্রীড়াক্ষেত্রে একের পর এক ক্ষয়ক্ষতি যে শুধু মানসিক আঘাত নয়, গোটা প্রজন্মের আশা-ভরসাকেও ধ্বংস করছে, তা বলাই বাহুল্য।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থা ও ক্রীড়া সংগঠনগুলো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থা ফিফা বা এএফসি এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

ফুটবল মাঠে গোল করাই ছিল সুলেমান ওবেইদের কাজ। কিন্তু তাঁর শেষ নিঃশ্বাস নেওয়া হলো গাজার ধ্বংসস্তূপে, একটি মানবিক লাইনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। মৃত্যুর মধ্যেও তিনি প্যালেস্টাইন প্রতিরোধ ও সাহসের প্রতীক হয়ে থাকবেন।

আরও পড়ুন :

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আগে সুপার কাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে এআইএফএফ

বিচ্ছেদের পথে সাইফ-কারিনার সম্পর্ক? পাক সাংবাদিকের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে বলিপাড়ায় চাঞ্চল্য

ad

আরও পড়ুন: