PantCenturyCurse
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক: ঋষভ পন্ত—আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত, ম্যাচে মোড় ঘোরানোর ক্ষমতা রাখেন একাই। টেস্ট ফরম্যাটে তার ব্যাট থেকে বারবার এসেছে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তার সেই চেষ্টাগুলো খুব কম সময়েই ভারতের জয়ের উৎসবের অংশ হয়েছে।অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা—বিদেশের মাটিতে পন্তের সেঞ্চুরি মানেই যেন ভারতীয় দলের হারের অশনিসঙ্কেত (PantCenturyCurse)। এমন পরিসংখ্যান এখন ক্রিকেটবিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
পরিসংখ্যানের খতিয়ান: পন্তের সেঞ্চুরি বনাম ভারতের ফলাফল
প্রথম ইনিংস: ১৩৪ রান
দ্বিতীয় ইনিংস: ১১৮ রান
স্ট্রাইক রেট: যথাক্রমে ৭৫.২৮ ও ৮০+
ফল: ইংল্যান্ড জেতে ৫ উইকেটে (৩৭১ রান তাড়া করে)
➤ ম্যাচজুড়ে পন্তের দাপট, কিন্তু শেষমেশ বোলিং ভেঙে পড়ে ভারতের, পান্ত হতাশায় ডুবে যান।
প্রথম ইনিংস: ১৪৬ রান
দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৭ রান
ভারতের লক্ষ্য: ৩৭৮ রান
ফল: ইংল্যান্ড জয় পায় ৭ উইকেটে (তাদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড)
দ্বিতীয় ইনিংস: অপরাজিত ১০০ রান
দলের সংগ্রহ: মাত্র ১৯৮
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পায় ৭ উইকেটে
➤ দলের একমাত্র লড়াকু পারফরম্যান্স পন্তের, কিন্তু বাকি সবাই ব্যর্থ।
পন্তের স্কোর: ক্যারিয়ার-সেরা ১৫৯*
ভারত: ৬২২ রানের বিশাল সংগ্রহ
ফল: ম্যাচ ড্র (বৃষ্টিতে শেষ দিনে বলই হয়নি)
➤ জয়ের সব উপাদান থাকলেও প্রকৃতির হাতে পরাস্ত হয় ভারত।
পন্ত: ১১৪ রান
ভারতের লক্ষ্য: ৪৬৪
ফল: ভারত অলআউট ৩৪৫ রানে, ইংল্যান্ড জয় পায় ১১৮ রানে
➤ লড়াই করেছিলেন পন্ত, কিন্তু বাকিরা হতাশ করেছেন।
পন্তের ব্যাটিংয়ের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি দুর্দান্ত, দৃঢ়চেতা এবং ভয়ডরহীন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে—তার পারফরম্যান্স ম্যাচ জেতাতে পারছে না।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন:
“পন্তের ইনিংসগুলো ম্যাচ জেতানোর মতোই, কিন্তু সেই সময় ভারতীয় বোলিং ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে ভারত বারবার ধসে পড়ছে।”
প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মত,
“যে কোনও দলের জন্য পন্ত সম্পদ। তবে জয় আনতে হলে পুরো দলকেই সামর্থ্যের সেরা দিতে হবে।”
আইসিসি ক্রিকেটে আনছে বড় পরিবর্তন, টেস্ট ও ওয়ানডে—দুই ফরম্যাটেই নতুন নিয়ম
এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়া ও ক্রিকেট প্যানেলগুলোতে। পন্ত নিজের সেরাটা দেওয়ার পরও জয় না আসা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক। এটাই প্রমাণ করে—ক্রিকেট দলগত খেলা। একজন যতই ভালো খেলুক, ১১ জনকে একসঙ্গে ছন্দে থাকতে হয়।
পন্ত এখনও কিছু বলেননি, তবে তাঁর শরীরী ভাষা ও মাঠের প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, হতাশা তাকে গ্রাস করছে। হয়তো মনে মনে ভাবছেন—
“আর কতবার সেঞ্চুরি করেও পরাজিত দলে থাকব?”
আরও পড়ুন :
বুমরা জ্বলে উঠলে জয়, না হলে দুর্দশা! পরিসংখ্যানেই মিলছে ভারতের টেস্ট ভাগ্যের ছক