PiyushChawla
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল শুক্রবার। পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন পিয়ুশ চাওলা (PiyushChawla), যিনি ভারতের দুটি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন — ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
প্রায় ২০ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট-জীবন শেষে সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন পোস্টে নিজের অবসরের কথা জানান তিনি।
View this post on Instagram
পিয়ুশ চাওলা ভারতের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাঁর বোলিংয়ে ছিল নিয়ন্ত্রণ, বৈচিত্র্য ও অভিজ্ঞতার ছাপ।
২০০৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
২০১১ সালের ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ
এই দুটি ঐতিহাসিক দলের অংশ ছিলেন তিনি, যদিও দুই বিশ্বকাপে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও ড্রেসিংরুমে তাঁর উপস্থিতি ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক।
৩টি টেস্ট ম্যাচ
২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ
৭টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ
ভারতীয় দলে নিয়মিত না হলেও, যখনই সুযোগ পেয়েছেন, নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।
পিয়ুশ চাওলা ছিলেন আইপিএলের অন্যতম সেরা উইকেটশিকারী।
তিনি আইপিএলে এখন পর্যন্ত চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী, যা তাঁর ধারাবাহিকতা ও অভিজ্ঞতার প্রমাণ।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, কোলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স–এর হয়ে খেলেছেন তিনি।
বিশেষ করে কেকেআরের হয়ে তাঁর সময় ছিল সোনালি, যেখানে তিনি দলকে শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়ে চাওলা লিখেছেন,
“যদিও আমি এখন সরে দাঁড়াচ্ছি, তবে ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। এই সুন্দর খেলার শিক্ষা ও চেতনা নিয়ে আমি এক নতুন যাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, তাঁর ক্যারিয়ারের প্রতিটি অধ্যায়ই ছিল স্মরণীয়, এবং তিনি কৃতজ্ঞ পরিবার, সতীর্থ, কোচ ও ভক্তদের প্রতি।
পিয়ুশ চাওলার বিদায় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত। তিনি হয়তো আর ২২ গজে দেখা যাবেন না, কিন্তু তাঁর স্মৃতি, স্পিনের কারিকুরি এবং ম্যাচ ঘোরানো মুহূর্তগুলো ভারতীয় ক্রিকেটে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সামনে হয়তো তাঁকে দেখা যাবে মেন্টর, কোচ বা ক্রিকেট বিশ্লেষকের ভূমিকায় — ঠিক যেমনটা তিনি বলেছেন, “ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে।”
আরও পড়ুন :
পাকিস্তানে ৪৪% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, চরম দারিদ্র্যে ভুগছে ৪ কোটির বেশি
দারিদ্র দূরীকরণে বিশ্বব্যাঙ্কের স্বীকৃতি: ভারতের দশকে বড় সাফল্য