RajeevShukla BCCI
ক্লাউড টিভি | ৩ জুন, ২০২৫ : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)-এর নেতৃত্বে আসছে বড় রদবদল। চলতি বছরের জুলাই মাসেই বোর্ডের বর্তমান সভাপতি রজার বিনি তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন বর্তমানে সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকা প্রবীণ রাজনীতিক ও ক্রীড়া প্রশাসক রাজীব শুক্লা (RajeevShukla BCCI)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১৯ জুলাই রজার বিনির ৭০ বছর পূর্ণ হবে, আর সেই সঙ্গে শেষ হবে তার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার মেয়াদ।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী, ৭০ বছর পূর্ণ হলে কেউ আর সভাপতির পদে থাকতে পারেন না। এই নিয়মের আওতাতেই এবার বিদায় নিতে হচ্ছে রজার বিনিকে। ২০২২ সালের অক্টোবরে সৌরভ গাঙ্গুলির জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রজার বিনি।
তার নেতৃত্বে বোর্ড বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করেছে। তবে বয়সজনিত সীমাবদ্ধতা এবার তাঁর প্রশাসনিক অধ্যায়ে ইতি টানছে।রাজীব শুক্লা একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়া প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বর্তমানে বিসিসিআই-এর সহ-সভাপতির পদে আছেন। বিসিসিআই-র কার্যপ্রণালি এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকায় বোর্ডের অন্তবর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালনে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করছে বোর্ডের অভ্যন্তরীণ মহল।
তিনি অতীতে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (ICC) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়েছেন।বিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানেই পরবর্তী স্থায়ী সভাপতির নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন রাজীব শুক্লা।এই তিন মাসে তাঁকে বোর্ডের কার্যনির্বাহী নানা দায়িত্ব সামলাতে হবে এবং বিশ্বকাপ ২০২৫-এর প্রস্তুতি, ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যালেন্ডার এবং আইপিএল ২০২৬-এর রূপরেখা তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজেও নেতৃত্ব দিতে হতে পারে।
ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং প্রশাসকদের একাংশ মনে করছেন, রাজীব শুক্লার অভিজ্ঞতা ও বিসিসিআই-এর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক তাঁকে একজন কার্যকর অন্তর্বর্তী সভাপতি করে তুলবে। তবে অনেকেই চাইছেন, আগামী নির্বাচনে যেন একজন প্রাক্তন ক্রিকেটারকেই বোর্ডের শীর্ষপদে বসানো হয়, যাতে মাঠ এবং ম্যানেজমেন্ট—দুটোর অভিজ্ঞতা একসঙ্গে কাজে লাগানো যায়।
আরও পড়ুন :
পায়রা বিষ্ঠা ও ধূলিকণার স্বাস্থ্যঝুঁকি : দিল্লি তে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালে শুনানি