Breaking News

Sunita Williams

সুনিতা উইলিয়ামস কে, কীভাবে তিনি নভোচারী হয়ে উঠলেন

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে ৫০ মাইল দূরে সমুদ্রে অবতরণ করেছে নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস

Sunita Williams: The Journey of a Space Pioneer %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Sunita Williams

ক্লাউড টিভি : অপেক্ষার অবসান হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে ৫০ মাইল দূরে সমুদ্রে অবতরণ করেছে নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও বুচ উইলমোরের বহনকারী ক্যাপসুল। প্রায় ৯ মাস তাঁরা মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়েছিলেন।

এই সুনিতা উইলিয়ামস কে, কীভাবে তিনি মহাকাশচারী হয়ে উঠলেন। আসুন তাঁকে জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন :

যাদবপুরে ‘আজাদ কাশ্মীর’ পোস্টারে প্রথম গ্রেপ্তার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সৌম্যদীপ

China Dark Factory: কমিউনিস্ট চিনে এবার শ্রমিক ছাড়া আস্ত কারখানা, প্রমাদ গুনছে বিশ্ব

সুনিতা উইলিয়ামসের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ইউক্লিডে তাঁর জন্ম। এ পর্যন্ত তিনি তিনবার মহাকাশ স্টেশনে গেছেন।

সুনিতা ১৯৮৩ সালে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের অ্যানাপোলিসে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে তিনি বিমান চলাচল প্রশিক্ষণ কমান্ডে বিমানচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন।

১৯৮৯ সালের জুলাই মাসে জঙ্গি হেলিকপ্টারের প্রশিক্ষণ নেন সুনিতা। তিনি পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং ইরাকের কুর্দি অঞ্চলগুলোতে নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার হেলিকপ্টার চালিয়েছিলেন।

১৯৯৩ সালে সুনিতা নেভাল টেস্ট পাইলট হিসেবে কাজ শুরু করে টেস্ট পাইলট প্রশিক্ষক পদে উন্নীত হন। তিনি বিভিন্ন ধরনের ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ চালানোর দক্ষতা অর্জন করেন। যখন তিনি মহাকাশ কর্মসূচির নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত হন, তখন তিনি ইউএসএস সাইপানে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সুনিতা উইলিয়ামস ১৯৯৫ সালে মেলবোর্নে ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি নভোচারী প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

এরপর সুনিতা (Sunita Williams) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে গিয়ে সেখানে রোবোটিকস ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) পরিচালনার প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেন। এই সময় তিনি রাশিয়ান ফেডারেল স্পেস এজেন্সির কাজ শুরু করেন।

২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর মহাকাশযান ডিসকভারিতে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) যান সুনিতা। সেখানে তিনি এক্সপেডিশন ১৪ ও ১৫–এ ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন।
ওই সময় মহাকাশ স্টেশনে থাকার সময় সুনিতা চারবার মহাকাশে হাঁটেন এবং ২৯ ঘণ্টার বেশি সময় তিনি মহাকাশযানের বাইরে কাটান। তিনি মহাকাশে ১৯৫ দিনেরও বেশি সময় অতিবাহিত করেন।

কল্পনা চাওলার পরে সুনীতা হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহিলা যিনি মহাকাশে গেছেন। কল্পনা চাওলা মহাকাশ মিশন শেষে পৃথিবীতে ফেরার সময় দুর্ঘটনায় নিহত হন।

২০১২ সালের ১৫ জুলাই সুনিতা সয়ুজ টিএমএ–০৫এম–এ চড়ে আবারও মহাকাশ স্টেশনে যান। তিনি এক্সপেডিশন ৩২–এ ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি এক্সপেডিশন ৩২-এর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান।

আজ মহাকাশে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারত

অর্থাভাবে ফুটবল ছেড়ে জিলাপি বিক্রি করছেন পাকিস্তানি ফুটবলার রিয়াজ!

এই দফায় সুনিতা তিনবারের বেশি মহাকাশে হাটেন। এতে সময় লাগে ২১ ঘণ্টারও বেশি। দুটি ফ্লাইট মিলিয়ে ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইএসএসের বাইরে মহাকাশে হাঁটার রেকর্ড করেন তিনি।

১২৭ দিন মহাকাশে কাটানোর পর ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসেন সুনিতা। দুটি মহাকাশ সফরে ৩২১ দিনেরও বেশি সময় সেখানে কাটিয়েছেন তিনি।

২০২২ সালে সুনিতাকে (Sunita Williams) আইএসএসের প্রথম পরীক্ষামূলক ক্রু স্টারলাইনার ফ্লাইটের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ জুন ওই যান চালু হয়েছিল। ওই মিশনে বেরি উইলমোর কমান্ডার ছিলেন আর সুনিতা ছিলেন পাইলট। মিশন শুরুর পরদিনই স্টারলাইনার মহাকাশ স্টেশনে অবতরণ করেন। এক সপ্তাহ থাকার কথা থাকলেও কারিগরি জটিলতার কারণে তাঁরা সেখানে আটকা পড়েন। প্রায় ৯ মাস পর গতকাল তিনি ও বুচ পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

Facebook : https://www.facebook.com/cloud.tv24x7
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS

ad

আরও পড়ুন: