Super Earth
ক্লাউড টিভি : মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক সম্ভাবনার জানালা খুলে দিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমাদের সৌরজগতের বাইরের অনেক নক্ষত্রের চারপাশে ‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) নামক বৃহৎ ও বসবাসযোগ্য গ্রহ থাকতে পারে। নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই ধরণের গ্রহ শুধু বিরল নয়, বরং মহাবিশ্বে প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে রয়েছে।
‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) বলতে বোঝায় এমন গ্রহ যা আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড় কিন্তু নেপচুনের চেয়ে ছোট। এদের পৃষ্ঠতল পাথুরে হতে পারে, এবং কিছু গ্রহে থাকতে পারে জলীয় বাষ্প, বায়ুমণ্ডল, এমনকি জীবনধারণের উপযুক্ত পরিবেশ। এই গ্রহগুলোকে “এক্সোপ্ল্যানেট”-এর একটি বিশেষ শ্রেণি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
পৃথিবীর গভীরে খোঁজ মিলেছে হিমালয়ের চেয়ে শত গুণ বড় দুটি পর্বত!
এই গবেষণাটি একটি আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী দল পরিচালনা করেছে যারা বিভিন্ন টেলিস্কোপ ও রেডিও তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে মহাকাশের হাজার হাজার নক্ষত্রের চারপাশ ঘিরে থাকা গ্রহের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। ফলাফলে দেখা গেছে, অনেক নক্ষত্রের আশেপাশে এমন গ্রহ রয়েছে যাদের পৃষ্ঠে জীবনের উপযোগী তাপমাত্রা থাকতে পারে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের গবেষণায় এই ধরণের ‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) গুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ধরা হবে, কারণ এই গ্রহগুলোতেই বহির্জাগতিক প্রাণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
যদিও এই ধরণের কোনো গ্রহে সরাসরি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে গ্রহগুলোর ভূ-আবরণ, আবহাওয়া এবং কক্ষপথ ইঙ্গিত দেয় যে সেখানে প্রাণের সম্ভাবনা নাকচ করা যায় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, “যদি প্রাণ জন্মে থাকে পৃথিবীর বাইরে, তাহলে এর খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এই সুপার-আর্থ গ্রহগুলোতেই।”
NASA, ESA এবং অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা এই নতুন তথ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের টেলিস্কোপ ও স্পেস মিশন চালু করার পরিকল্পনা করছে। এই গবেষণা মহাকাশে মানুষের অনুসন্ধানের কল্পনা ও কর্মপন্থাকে নতুন দিশা দেখাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
#SuperEarth #Exoplanets #SpaceDiscovery #LifeBeyondEarth #AstronomyNews #NASA #SpaceResearch #CloudTVNews #Astrobiology #FutureOfSpace
আরও পড়ুন :
পর্যটকদের বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন দুই কাশ্মীরি কন্যা