Breaking News

IranUSCrisis AustraliaSupportsUS

ইরানে মার্কিন হামলায় অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন, কূটনীতির আহ্বান ক্যানবেরার

যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় অস্ট্রেলিয়া

IranUSCrisis AustraliaSupportsUS with Diplomatic Efforts %%page%% %%sep%% %%sitename%%

IranUSCrisis AustraliaSupportsUS

বিশেষ প্রতিবেদন | ক্লাউড টিভি : ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলাকে সমর্থন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে সেইসঙ্গে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করে ফের কূটনৈতিক আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে ক্যানবেরা (IranUSCrisis AustraliaSupportsUS)।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং সোমবার সকালে সেভেন সানরাইজ-এ দেওয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন,

“ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন না করে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আমরা সমর্থন করি।”

তিনি বলেন, যদিও হামলাটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পদক্ষেপ, তবুও অস্ট্রেলিয়া মনে করে, এখন সময় এসেছে কূটনীতি এবং আলোচনার পথে ফিরে আসার।

“আমরা উত্তেজনা চাই না। আমরা চাই আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।”

পেনি ওং এও জানান, অস্ট্রেলিয়া ব্রিটেনসহ অন্যান্য মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে মিলে ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরানোর আহ্বান জানাচ্ছে (IranUSCrisis AustraliaSupportsUS)। তাঁদের মতে, যুদ্ধ নয়—মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার একমাত্র উপায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা।

বর্তমানে ইরানে প্রায় ২,৯০০ জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অবস্থান করছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ইরাকে আছেন আরও ১,৩০০ জন অস্ট্রেলিয়ান। এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ক্যানবেরা সরকার তাদের কনস্যুলেট ও দূতাবাসগুলির মাধ্যমে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে এবং প্রয়োজনে নাগরিকদের সরিয়ে আনার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

বিশ্বকাপে ইরানি সমর্থকদের ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ, দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

ইরানের সম্ভাব্য হামলার শঙ্কায় ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কতা, কড়া বার্তা দিল তেহরান

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক কূটনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তারা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসাবে নিরাপত্তার প্রশ্নে তাদের পাশে থাকলেও, একই সঙ্গে বৈশ্বিক কূটনীতির ভারসাম্য রক্ষা করতেও সচেষ্ট।

অন্যদিকে, ইরানের তরফ থেকে এখনো এই মন্তব্যে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে, তারা এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলেই মনে করে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ যত চড়ছে, ততই সংকটে পড়ছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দেশ তাঁদের নাগরিকদের ফিরে আসার পরামর্শ দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্ক প্রশমিত করার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার মতো তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

আরও পড়ুন :

তেহরানের রাস্তাঘাট যেন অস্থিরতার গল্প: পাতালেই রাত কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ, যুদ্ধের ভয়াল ছায়ায় রয়ে যাচ্ছে তবুও অনেকে

২৫ শতাংশ ডিএ নিয়ে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা, নবান্নের নির্দেশের অপেক্ষায় রাজ্যের সরকারি কর্মীরা

ad

আরও পড়ুন: