Breaking News

TehranUnderAttack UndergroundSurvival

তেহরানের রাস্তাঘাট যেন অস্থিরতার গল্প: পাতালেই রাত কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ, যুদ্ধের ভয়াল ছায়ায় রয়ে যাচ্ছে তবুও অনেকে

ইসরাইলি হামলার আতঙ্কে তেহরানের মানুষ পাতাল রেল স্টেশনে রাত কাটাচ্ছেন

TehranUnderAttack UndergroundSurvival Tips for Families %%page%% %%sep%% %%sitename%%

TehranUnderAttack UndergroundSurvival

বিশেষ প্রতিবেদন | ক্লাউড টিভি : তেহরানের রাজপথ যেন এক মহা-নির্বাসনের চিত্রপট। শহরের ওপরে যুদ্ধবিমানের গর্জন আর রকেটের শব্দ ছাপিয়ে মানুষের পদধ্বনি এখন গহীন পাতালের দিকে(TehranUnderAttack UndergroundSurvival)—মাটির নিচেই রাত কাটাতে নামছে পরিবার, শিশু, তরুণ-তরুণীরা। উপরে কোথাও নেই কোনও আশ্রয়কেন্দ্র, নেই সরকারি কোনো বার্তা বা উদ্ধারের পরিকল্পনা।

ফুটপাথের ওপর শুয়ে থাকা মানুষের পাশে টানা হচ্ছে স্যুটকেস। পিঠে ব্যাগ, হাতে বালিশ-কম্বল। একজন একক মায়ের হাতে শিশুর হাত, অন্য হাতে ব্যাগ—চোখে উদ্বেগের ছায়া। তেহরান যেন আর কোনও শহর নয়, বরং এক শ্বাসরুদ্ধ আতঙ্কগ্রস্ত জীবন্ত অভিজ্ঞতা।

এ শহরের ভবনগুলো আজ আর শুধুই বসবাসের জায়গা নয়—সেগুলো ঘিরে আছে সন্দেহ আর সংশয়ের মেঘ। ২৪ বছর বয়সী মোমো, একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী জানাচ্ছেন,

“আমরা জানি না পাশের ভবনেই হয়তো ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বা গোপন সামরিক দফতর আছে কিনা। হয়তো গোপন কোন প্রকল্প চলছে একেবারে আমাদের জানালার ওপারে। কে জানে, কখন কী হয়ে যাবে।”

তবুও মোমো যেমন রয়ে যাচ্ছেন, তেমনি থেকে যাচ্ছেন আরও অনেকে। তিনি বলেন,

“আমি তেহরান ছাড়ছি না। এটা কেবল আমার ঠিকানা নয়—আমার নীতিগত অবস্থান। আমার দুই বছরের বিড়ালটা এখানেই, আর তার থেকেও বড় কথা, আমি পালাতে চাই না। যুদ্ধ আমাকে বাস্তুচ্যুত করবে না।”

মোমো-দের মতো তরুণ প্রজন্মের অনেকেই আজ আশ্রয় খুঁজছে কোনও মাটির বাংকারে নয়, বরং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে—ডিসকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল-এ চলছে নিরাপদ থাকার আপাত-পরামর্শ, মানসিক সংযোগের প্রচেষ্টা। সেখানে একেকজন একেকভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতা জানাচ্ছেন, কারও ফোনে ফাটার শব্দ, কারও টেক্সটে আতঙ্ক, কেউ আবার সাহসের কথা শোনাচ্ছেন—”আশা করি আগামিকাল আবার সূর্য উঠবে।”

দিল্লিকে হারিয়ে প্রথম স্থানে ঢাকা

স্বপ্নভঙ্গ: লন্ডনে পরিবার নিয়ে নতুন জীবনের পথে পা রাখতেই মাঝ আকাশে নিভে গেল প্রতীক জোশীর পরিবার

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর তেহরান শহরের অজস্র মানুষ আত্মগোপন করেছেন পাতাল রেল স্টেশনের গভীরে। সরকারি তরফে এখনো পর্যন্ত কোনও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি, নেই কোনও হেল্পলাইন বা নির্দিষ্ট বার্তা।

ইরানের সরকারি অবস্থান এখনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঠিকই, তবে বাস্তবতায় সাধারণ মানুষই আজ সবচেয়ে বড় শিকার।

তেহরানের এক রাতে, যেন গোটা মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিচ্ছবি

যখন মোমো বলেন, “আমার বাড়িই যদি কবরে পরিণত হয়, তাও বাস্তুচ্যুত হতে চাই না”—তখন তাঁর কণ্ঠে শুধু এক শহরের সংকট নয়, বরং যুদ্ধবিধ্বস্ত গোটা অঞ্চলের চুপচাপ হাহাকার ধ্বনিত হয়।

আরও পড়ুন :

২৫ শতাংশ ডিএ নিয়ে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা, নবান্নের নির্দেশের অপেক্ষায় রাজ্যের সরকারি কর্মীরা

ইরান-মার্কিন সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্পের ‘শান্তির নোবেল’ নিয়ে বিতর্ক, পাকিস্তানকে কটাক্ষ ওয়াইসির

ad

আরও পড়ুন: