Breaking News

KashmirConflict BorderLife

যুদ্ধবিরতির পরও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আতঙ্ক, উচু পাহাড়ে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ

কাশ্মীরের আখনুরের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি কৃষি শ্রমিক আশা দেবী বলেন, আমি বিহারে আমার গ্রামে ফিরে যেতে চাই

KashmirConflict BorderLife: The Search for Peace %%page%% %%sep%% %%sitename%%

KashmirConflict BorderLife

১৩ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি) :থেমে গেছে সীমান্তে উত্তেজনা। গোলাগুলির শব্দও আর নেই। মাথার উপরও উড়ছে না বিধ্বংসী ড্রোন। সবমিলিয়ে শান্ত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। তবুও ছন্দ ফিরছে না সীমান্তে (KashmirConflict BorderLife)।

যুদ্ধবিরতির পরও বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দারা। একই অবস্থা ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্ত জনপদেও। যুদ্ধবিরতি হলেও যুদ্ধের ধোঁয়া নাকি এখনো কাটেনি! ভয়-আতঙ্ক-হতাশায় এখন রয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। কেউ আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে আছেন উঁচু পাহড়ের ঢালে (KashmirConflict BorderLife)। সারাদিন জটলা পাকিয়ে একই দরবার সবার- বাড়ি যাব কি যাব না? এই দোটানাতেই সময় কাটছে বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জম্মু-কাশ্মীরের শত শত মানুষের। আজাদ কাশ্মীরে ১,১৪৬ পরিবার। সোমবার সেই দৃশ্যই উঠে এসেছে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে।

শনিবার যুদ্ধবিরতির পরও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না তারা ‘যুদ্ধ শেষ’। এখনো নিরাপত্তাহীনতায় কাশ্মীর, জম্মু, অমৃতসর ও আজাদ কাশ্মীরের নীলম উপত্যকার বাসিন্দারা (KashmirConflict BorderLife)। আতঙ্ক এখনো কাটেনি! সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীও চাইছে না এখনই নিজ নিজ ঘরে ফিরুক বাসিন্দারা। যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোলার আওয়াজ শোনা গেছে সীমান্তের দুই পাশেই।

যুদ্ধবিরতির পরও আশঙ্কায় ভুগছেন কাশ্মীরবাসী, বাংকারে রসদ রেখে ঘরে ফেরা

মোদীর কড়া বার্তা পাকিস্তানকে: “রক্ত ও জল একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না”

রবিবার জম্মু-কাশ্মীরের এক জরুরি পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্রন্টলাইন গ্রামগুলোতে কেউ এখনই যেন না ফেরেন। নিয়ন্ত্রণ রেখার জেলাগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দুই দেশই। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে উভয় প্রশাসনই।

মুজাফফরাবাদের লোয়ার প্লেট পাড়ার একটি উচ্চবিদ্যালয় ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন নীলম উপত্যকার গৃহিণী জাহিদা পারভীন। বলেন, ‘আমরা এখনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নই। আমাদের সন্তানদের নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। আমরা আতঙ্কে পালিয়ে এসেছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হয়ে ফিরে যেতে চাই না। স্কুলের বারান্দায়, সান্দোক গ্রামের ৫৬ বছর বয়সি সৈয়দ মুরিদ হুসেনও একই রকম মতামত ব্যক্ত করেছেন।

কাশ্মীরের আখনুরের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি কৃষি শ্রমিক আশা দেবী বলেন, আমি বিহারে আমার গ্রামে ফিরে যেতে চাই। সীমান্তে ফিরে মরতে চাই না। সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামগুলোর প্রধানদের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রামবাসীরা এখনো গোলার শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন। আখনুর এলাকার এক গ্রামের প্রধান কাবল সিং বলেছেন, যুদ্ধবিরতির পর বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে লোকজন আরও বেশি ভীত হয়ে পড়েছে। কেউই এখন ফিরতে চাইছেন না। দুই দেশের গণমাধ্যমই বলছে, ঘর-বাড়ি ফেলে আসা সীমান্তের হাজার হাজার এই মানুষের এখন মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

#KashmirCeasefire #LOCtensions #BorderLife #AzadKashmir #PeaceNotWar #CeasefireFragile #KashmirConflict #BunkerLife #LineOfControl #PostConflictKashmir

আরও পড়ুন :

পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া কতটা ব্যয়বহুল তা এখন মোদি বুঝতে পারছেন: শহিদ আফ্রিদি

সিকিম বিশ্বের প্রথম ১০০% জৈব রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত

ad

আরও পড়ুন: