Breaking News

MostExpensiveMissile

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্র ‘ট্রাইডেন্ট II D5’: কার হাতে আছে এই অদম্য অস্ত্র

প্রতি ট্রাইডেন্ট II D5 ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় ₹৫৯৬ কোটি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামী ক্ষেপণাস্ত্র

MostExpensiveMissile: Understanding Trident II D5 %%page%% %%sep%% %%sitename%%

MostExpensiveMissile

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্র এখন আমেরিকার ‘ট্রাইডেন্ট II D5’। এটি শুধু খরচের দিক থেকেই নয়, ক্ষমতা, নির্ভুলতা ও পরমাণু প্রতিরোধনীতির নিরিখেও শীর্ষস্থানীয়। প্রতিটি ‘ট্রাইডেন্ট II D5’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ₹৫৯৬ কোটি টাকা (MostExpensiveMissile)।
এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি জায়ান্ট লকহিড মার্টিন। এটি মোতায়েন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও-ক্লাস সাবমেরিন এবং ব্রিটেনের ভ্যানগার্ড-ক্লাস সাবমেরিনে। মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌবাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে এটি একটি অনিবার্য অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত।

ট্রাইডেন্ট II D5 একটি তিন-পর্যায়ের কঠিন জ্বালানিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (SLBM), যার পাল্লা প্রায় ১২,০০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ এটি বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতি উৎক্ষেপণে বহন করতে পারে ৮ থেকে ১২টি ‘MIRV’ (Multiple Independently targetable Reentry Vehicle) — প্রতিটি ওয়ারহেড আলাদা আলাদা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এর মানে একটিমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেও একাধিক শত্রু লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা সম্ভব।

পাকিস্তানি ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ

আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনা কি তবে দুর্ঘটনাক্রমে রাশিয়ার ক্ষেপনাস্ত্রে

এর উচ্চ নির্ভুলতা (CEP বা Circular Error Probable মাত্র ৯০ মিটার), উন্নত জাইরোস্কোপিক ও জিপিএস নির্ভর নির্দেশনা ব্যবস্থা, এবং সাবমেরিন থেকে নিরবিচারে উৎক্ষেপণের সক্ষমতা একে পৃথিবীর সবচেয়ে বিধ্বংসী এবং নির্ভরযোগ্য পরমাণু অস্ত্রে পরিণত করেছে।

একটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ₹৫৯৬ কোটি টাকার ব্যয় সাধারণের কল্পনার বাইরে। তবে ট্রাইডেন্ট II D5-এর ক্ষেত্রে এর দাম যৌক্তিক — কারণ এটি শুধু একটি বিস্ফোরণ ঘটানো যন্ত্র নয়, বরং এটি আমেরিকার কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যুহের মেরুদণ্ড।
এই ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত উপাদান ও প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে—

  • উন্নত কম্পোজিট বডি যা উচ্চ গতিতে বাতাসে প্রতিরোধ কমায়

  • নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড সহনীয় নির্মাণ উপাদান

  • সাবমেরিন থেকে নিরবিচারে উৎক্ষেপণযোগ্য প্রযুক্তি

  • দীর্ঘমেয়াদী স্টোরেজ ও নেভিগেশন সিস্টেম

এই সবের ফলেই ট্রাইডেন্ট D5 বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে।

বিশ্বে বর্তমানে পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। আমেরিকার ট্রাইডেন্ট II D5 যেমন শক্তির প্রতীক, তেমনই প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া এবং চীনও উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে বিনিয়োগ করেছে।
রাশিয়ার ‘খ-৪৭এম২ কিনঝাল’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম ($১০ মিলিয়ন), তবে সেটির গতি অনেক বেশি এবং যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়ার জন্য উপযোগী।
চীনের DF-41 ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভারতের অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র এই প্রতিযোগিতার অংশ।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO দ্বারা নির্মিত অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫,০০০ কিমি ছাড়িয়ে যায়, যা দেশের পরমাণু ত্রিস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ।

ট্রাইডেন্ট II D5 যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু ত্রিস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (nuclear triad) “sea-based leg” অর্থাৎ ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য অংশের মূল স্তম্ভ।
এই ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১৪টি ওহাইও-ক্লাস সাবমেরিনে সংরক্ষিত, যেগুলোর প্রতিটি একযোগে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। অর্থাৎ শুধুমাত্র ডুবোজাহাজের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্র মুহূর্তের মধ্যে ৩০০টির বেশি পরমাণু আঘাত হানতে সক্ষম — এমন একটি সক্ষমতা যা প্রতিপক্ষকে বার্তা দেয়: “প্রথম আঘাত করলে দ্বিতীয় আঘাত হবে ধ্বংসাত্মক।”

আরও পড়ুন :

হিমাচলে হড়পা বানে বিপর্যস্ত কুলু ও রামপুর, চম্বায় ধসে মৃত ১, সাত জেলায় ‘ইয়েলো’ সতর্কতা জারি

“ফ্রি প্যালেস্টাইন!”; মাইক্রোসফ্টের বিল্ড ২০২৫ সম্মেলনে সিইওর বক্তৃতা বিঘ্নিত করায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বরখাস্ত

ad

আরও পড়ুন: