PakDossierLeak
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ফাঁস হলো (PakDossierLeak) এমন এক গোপন পাকিস্তানি ডসিয়ার, যা ভারতের সামরিক অভিযানের গভীরতা ও ব্যাপ্তি নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অপারেশন ‘সিন্ধু’ নিয়ে এতদিন যা জানা গিয়েছিল, বাস্তবে ভারতের স্ট্রাইক তার থেকেও অনেক গভীরে প্রবেশ করেছিল—এই দাবি পাকিস্তানের নিজস্ব সামরিক নথির মাধ্যমেই এখন সামনে এসেছে।
‘Moneycontrol’ সহ একাধিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের হাতে উঠে এসেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট, যেখানে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, ভারতের এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র সীমান্তবর্তী নয়, বরং পাকিস্তানের গভীর প্রদেশেও বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি।
ডসিয়ারে যে মানচিত্র প্রকাশ হয়েছে, তাতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো পাকিস্তানের পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরানওয়ালা, গুজরাট, বাহাওয়ালনগর, আটক ও চোর পর্যন্ত হামলা চালিয়েছে। এর অর্থ, ভারতের আঘাত সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০-৩০০ কিলোমিটার ভেতরে গিয়েছিল।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা একে অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি রাডার সিস্টেম ও প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হঠাৎ আক্রমণ ঠেকাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছিল।
মায়ানমারে মার্কিন ‘ছায়াযুদ্ধ’ পরিকল্পনা: উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
সীমান্তে সুরক্ষা সতর্কতা: সিভিল ডিফেন্স মহড়া বাতিল করল ভারত, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন বার্তা
ভারতের তরফে এই অপারেশনের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান স্পষ্টভাবে বলেন,
“ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নয়, আমরা দেখছি ফলাফল কী। অপারেশন ‘সিন্ধু’ ভারতের কৌশলগত পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন।”
তিনি আরও জানান,
“ভারত এখন যে কোনো যুদ্ধে প্রস্তুত – তা হোক হাইব্রিড, সাইবার বা সামরিক অভিযান। আমাদের অপারেশন আজ সম্পূর্ণ ‘নেটওয়ার্কড’, ‘ডিসেপ্টিভ’ এবং ‘হোমগ্রোন’।”
এছাড়া তিনি জানান, ভারতীয় বাহিনী তিন দিনের মধ্যেই তাদের লক্ষ্য পূরণ করেছে। তারপরেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যেটি ভারতের স্ট্র্যাটেজির অন্তর্গত ছিল।
এই ডসিয়ার প্রথমত ভারতের সামরিক সক্ষমতার বহর দেখায়, দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কাঠামোর দুর্বলতাও প্রকাশ করে। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জিও-পলিটিক্যাল অবস্থান আরও জোরালো হবে বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মহল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯-এ বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর এই প্রথম এতো গভীর পর্যন্ত ঢুকে এতো বিস্তৃত অভিযান চালালো ভারত। পাশাপাশি, এবার সরাসরি স্বীকারোক্তি এসেছে পাকিস্তানের নিজের নথি থেকেই।
পাকিস্তানকে ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষার নতুন কৌশল নিতে হবে।
ভারত দেখিয়ে দিয়েছে—প্রয়োজনে শুধু সীমান্ত নয়, গভীরে গিয়েও আঘাত হানার সক্ষমতা তার আছে।
সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি, ড্রোন লঞ্চ পয়েন্ট, রাডার সিস্টেম—সবই অপারেশন সিন্ধুর লক্ষ্য ছিল।
আরও পড়ুন :