Jagannath Dham Digha
দিঘা থেকে শান্তিপ্রিয় রায়চৌধুরী : আজ দুপুর ৩টে ১১ মিনিটে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল সমুদ্র শহর দিঘা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অন্যতম ধর্মীয় ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলেন জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham Digha)। সাড়ম্বরে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলার সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং গৌরবময় ঐতিহ্যের এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা গেল।
মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের আগে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমঞ্চে হাজির ছিলেন বাংলার চলচ্চিত্র ও সংগীত জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বেরা—প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, জিৎ, সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সি এবং নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলী। তাঁদের পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে এবং এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও স্মরণীয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham Digha) শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে উঠবে।” তিনি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা হিডকো, ইসকনের রাধারমন দাস, পুরীর রাজ পরিবারের প্রতিনিধি রাজেশ দ্বৈতাপতি, স্থানীয় প্রশাসন, নির্মাণকর্মী এবং শিল্পীদের ধন্যবাদ জানান তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য।
Digha Jagannath Temple : দীঘাতে সাজো সাজো রব, উদ্বোধনের অপেক্ষায় জগন্নাথ মন্দির
উদ্বোধনের আগেই চরম বিপত্তি! দীঘায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জগন্নাথ মন্দিরের গেট
এই বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকার যেভাবে পরিকল্পনা ও রূপায়ণ করেছে, তা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। জগন্নাথ ধাম মন্দির চত্বরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই ৫০০টি গাছ রোপণ করা হয়েছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঘোষণাটি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। তিনি জানিয়েছেন, “জগন্নাথের প্রসাদ ও মন্দিরের পবিত্র ছবি প্রতিটি গৃহে পৌঁছে দেওয়া হবে।” এই মহতী উদ্যোগ শুধু রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সারা দেশের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে জগন্নাথের আশীর্বাদ। এই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের ইনফর্মেশন অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স (আইএনসি) বিভাগকে।
এই উদ্যোগের ফলে ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি রাজ্যে পর্যটনও আরও গতি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দিঘায় তৈরি হওয়া এই মন্দির একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করছে, অন্যদিকে পর্যটনের নতুন দিশা হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
দিঘার এই জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham Digha) আগামী দিনে বাংলার গর্ব হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সকলে। এটি শুধু এক ধর্মীয় কেন্দ্র নয়, বরং বাংলার সংস্কৃতি, পরিবেশ ও সম্প্রীতির এক অনন্য মেলবন্ধন হয়ে উঠবে।
#JagannathDhamDigha #MamataBanerjee #BengalTourism #SpiritualBengal #INCInitiative
আরও পড়ুন :
টানা ১৯ দিন একাধিক ট্রেন বাতিল সমস্যায় যাত্রীরা