Breaking News

Amit Shah Netaji Indoor

মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারানোর ভয়ে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করছেন মমতা : অমিত শাহ

অমিত শাহের অভিযোগ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটব্যাংক তুষ্ট করতে ওয়াকফ আইন ও 'অপারেশন সিন্দুর' এর বিরোধিতা করছেন

Amit Shah Netaji Indoor: A Political Showdown %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Amit Shah Netaji Indoor

কলকাতা, ১ জুন ২০২৫ : ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনীতি দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আজ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Amit Shah Netaji Indoor) এক বড়সড় জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন।

অমিত শাহ বলেন, “মমতা দিদি মুসলিম ভোটব্যাংক তুষ্ট করতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ ও ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছেন। এ হচ্ছে দেশের মা-বোনদের অপমান। তিনি চাইছেন না হিন্দু নারীরা তাদের অধিকার ফিরে পাক।”

তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ আইন নিয়ে সংসদে বিরোধিতা করছেন কারণ তিনি জানেন, একবার এই আইন লাগু হলে বহু বেআইনি সম্পত্তি এবং রাজনৈতিক প্রভাব হারাতে হবে। এটা তিনি বরদাস্ত করতে পারছেন না।”

‘অপারেশন সিন্দুর’ কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যার উদ্দেশ্য হল হিন্দু নারীদের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকারের সুরক্ষা এবং ধর্মান্তর বিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করা। বিজেপি দাবি করছে, এই অপারেশন হিন্দু নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

অমিত শাহ দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, “২০২৬ সালের পর মমতা দিদি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। তিনি যতই ওয়াকফ আইন ও অপারেশন সিন্দুরের বিরোধিতা করুন, বাংলার মা-বোনেরা তার জবাব দেবেন ব্যালট বাক্সে। তৃণমূল এবার শেষ হবে।”

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি অংশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। অমিত শাহ অভিযোগ করেন, এই দাঙ্গা পূর্বপরিকল্পিত এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়ে সংঘটিত হয়েছে। তিনি জানান, “রাজ্য সরকার বিএসএফ মোতায়েনের অনুমতি দেয়নি, ফলে দাঙ্গা ঠেকানো যায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফ পাঠাতে চাইলেও, রাজ্য সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। এটা প্রমাণ করে, এই দাঙ্গা রোধে রাজ্যের কোন সদিচ্ছা ছিল না।”

৬৯, সূর্য সেন স্ট্রিটের ফেবারিট কেবিনে নেতাজিও আসতেন

Waqf Bill: জানেন,ওয়াকফ বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে কত জমি রয়েছে? আর এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণই বা কত?

অমিত শাহের অভিযোগের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা ছিল পরিকল্পিত এবং তা বহিরাগতদের দ্বারা সংঘটিত। বিএসএফই পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। তাদের গুলিচালনার কারণেই উত্তেজনা ছড়ায়।”

তিনি বলেন, “রাজ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিজেপি ও তাদের অনুগত বাহিনীগুলো নানা রকম উস্কানিমূলক কাজ করছে।”

২০২৫ সালের সংসদে পাশ হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুযায়ী:

  • সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তিকে ডিজিটালভাবে রেকর্ড ও নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা।

  • ‘ইউজার বাই ওয়াকফ’ ধারণা বিলুপ্তি, অর্থাৎ শুধু ব্যবহারের ভিত্তিতে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ ঘোষণার সুযোগ থাকছে না।

  • ওয়াকফ বোর্ডে নারী সদস্য, বিশেষ করে মুসলিম নারীদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক।

  • সরকারি তত্ত্বাবধানে বোর্ডের কার্যকলাপ পরিচালনা।

সরকারের দাবি, এই আইন স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার রোধ করবে। কিন্তু বিরোধীদের মতে, এই আইন সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করবে এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করবে।

এই প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনীতি স্পষ্টভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। বিজেপি হিন্দু জনমানসের ওপর ভর করে নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষার দাবিতে অবস্থান নিচ্ছে।

বিজেপির মতে, ‘তুষ্টিকরণ নীতি’র মাধ্যমে তৃণমূল রাজ্যে অনাচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণ করে বিভাজনের রাজনীতি করছে।

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্য রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপি এক নতুন আক্রমণাত্মক কৌশল গ্রহণ করেছে, যা তৃণমূলের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন :

মায়ানমারে মার্কিন ‘ছায়াযুদ্ধ’ পরিকল্পনা: উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

দীপিকা কাক্কার আক্রান্ত লিভার ক্যান্সারে, স্টেজ ২-এ ধরা পড়ল টিউমার

ad

আরও পড়ুন: