ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে ঘটল ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণ। রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল মেঘনা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়াল চাঞ্চল্য। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতা তথা অর্জুন সিং-এর ভাইপো সঞ্জয় সিং-এর গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও তারা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপে দুই দলের যুবকদের মধ্যে বচসা বাঁধে। সেই বচসা মুহূর্তের মধ্যেই মারাত্মক রূপ নেয়। একদল যুবক হঠাৎই অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে বোমাবাজি শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। এরপরেই সঞ্জয় সিং-এর গাড়ি লক্ষ্য করে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় উপস্থিত সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।
বলিউড অভিনেতা অরুণোদয় সিং-এর অদ্ভুত বিবাহবিচ্ছেদ, কারণ এক পোষ্য কুকুর!
২০৩০ সালের মধ্যে এআই মানুষের অন্তত ৪০% কাজ দখল করতে পারে: স্যাম অল্টম্যান
ঘটনার পরপরই বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই তাণ্ডব চালিয়েছে। তাঁদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে অর্জুন সিং এবং তাঁর পরিবারকে নিশানা করা হয়েছে। বিজেপি আরও অভিযোগ তোলে, প্রশাসন ইচ্ছে করেই নীরব থেকেছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই দুষ্কৃতীরা বোমা ও গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রমাণ।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে। জগদ্দল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম দাবি করেছেন, “অর্জুন সিং-এর লোকজন আমাদের নেতা অমিত সিংকে মারধর করেছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।” তাঁর কথায়, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের উপস্থিতিতে দুষ্কৃতীরা এমন হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরা বলছে, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনা শুধুই স্থানীয় অশান্তি নয়। পঞ্চায়েত ভোটের পরবর্তী সময়ে বিজেপি-তৃণমূলের দ্বন্দ্বের জেরে বারবার সহিংসতার ছবি সামনে আসছে। অর্জুন সিং দীর্ঘদিন ধরে ব্যারাকপুর-অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা। তাঁর বাড়ির সামনে এমন আক্রমণ নিছকই কাকতালীয় নয় বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন :
ব্রিটিশ নয়, ভারতীয় সেনারাই হাইফা মুক্ত করেছিলেন, ইজরায়েলের শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
অন্য পুজো: চাঁদা-বিজ্ঞাপন ছাড়া আজাদগড় সংঘ ভারতী যেন ‘আড্ডা-পীঠ’