BengalRainAlert
২৮ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি) : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ উত্তর দিকে সরে এসে ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করছে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি । আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে (BengalRainAlert)।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি ওড়িশা উপকূল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোচ্ছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
হিমাচলে হড়পা বানে বিপর্যস্ত কুলু ও রামপুর, চম্বায় ধসে মৃত ১, সাত জেলায় ‘ইয়েলো’ সতর্কতা জারি
নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাডার উন্মোচন করল ইরান, নজরদারিতে নতুন দিগন্ত
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই নিম্নচাপের প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। এর ফলে স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে এবং দুপুর গড়াতেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামছে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।
রাজ্য সরকার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জেলার প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। নদী বা জলাশয়ের ধারে মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিপর্যয় এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টির ফলে জমেছে জল। বিশেষ করে সল্টলেক, বেহালা, টালিগঞ্জ, গড়িয়া ও দক্ষিণ শহরতলির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রাস্তায় জল জমে গাড়ি চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের জন্য এই বৃষ্টি যেমন কিছুটা স্বস্তির, তেমনি অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। আমন ধান রোপণের মরসুমে এই বৃষ্টি অনুকূল হলেও, অতিরিক্ত জল জমে গেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা এই নিম্নচাপ সক্রিয় থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে। তবে এর মধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত এবং জলা জমার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে বের না হতে এবং জরুরি প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করে বের হতে। বজ্রবিদ্যুৎ থেকে বাঁচতে খোলা জায়গা, জলাশয় কিংবা গাছের নিচে দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :