BengalStormWatch
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ২৫ জুলাই, ২০২৫ : দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ফের জমেছে দুর্যোগের ঘনঘটা। চলতি সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ও দক্ষিণ চিন সাগর থেকে আসা ঘূর্ণাবর্তের মিলনে তৈরি হয়েছে এক নতুন আবহাওয়াগত সঙ্কট। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন থেকে চার দিন দক্ষিণবঙ্গে প্রবল থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কীভাবে তৈরি হল এই দুর্যোগ?
এই ঘূর্ণাবর্তের উৎস ছিল দক্ষিণ চিন সাগরের ঘূর্ণিঝড় উইফা। এটি প্রথমে ভিয়েতনাম, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড হয়ে এগিয়ে আসে। সেই পথে আসতে আসতে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমে যায় এবং তা পরিণত হয় এক শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তে। একই সময়, বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই একটি নিম্নচাপ সক্রিয় ছিল। এই দুটি শক্তির সংমিশ্রণেই তৈরি হয় এক নতুন নিম্নচাপ।
এই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের সংমিশ্রণে বর্তমানে শক্তি সঞ্চয় করছে ঝড়-বৃষ্টি সহ এক দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি। এই নিম্নচাপ সরাসরি লক্ষ্য করছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূল।
উপকূলের দিকে এগোচ্ছে নিম্নচাপ, বুধেই ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু দক্ষিণবঙ্গে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ঝড়ের আশঙ্কা
️ কোন জেলাগুলিতে কী ধরনের বৃষ্টি হবে?
ভারী বৃষ্টি: পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া
অতি ভারী বৃষ্টি (Orange Alert): উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা
অতি ভারী বৃষ্টি: পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া (পশ্চিমাঞ্চলের জেলা)
ভারী বৃষ্টি: কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি অন্তত শনিবার পর্যন্ত চলতে পারে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। জলবদ্ধতা ও নদী তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কাও রয়েছে।
⚠️ সতর্কতা ও করণীয়
উপকূলবর্তী জেলা প্রশাসনকে আগেভাগে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
নদী ও জলাশয়ের আশেপাশে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে অতি জরুরি প্রয়োজনে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে।
️ পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে…
গত এক দশকে এরকম বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ চিন সাগর থেকে ভেঙে এসে বঙ্গোপসাগরে রূপান্তরিত হয়েছে। তার মধ্যে ‘তিতলি’ (২০১৮), ‘যশ’ (২০২১), ও ‘অশনি’ (২০২২) অন্যতম। এবারের উইফাও সেই রাস্তাতেই চলেছে।
আরও পড়ুন :
দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল: রাজনৈতিক চক্রান্ত না কি ব্যক্তিগত গোপনতা লঙ্ঘন?
অজ়ি ওসবোর্ন: শেষ কনসার্টেই রেখে গেলেন মেটাল ইতিহাসের চিরকালীন সাক্ষ্য