Breaking News

BurwanRain MudHouseCollapse

টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মাটির বাড়ি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তিনজন | পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের

পূর্ব বর্ধমানের ফতেপুর গ্রামে টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল পুরনো মাটির বাড়ি। সৌভাগ্যবশত প্রাণে বাঁচলেন একই পরিবারের তিনজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন স্থানীয় নেতৃত্ব, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন ও সহায়তার আশ্বাস।

BurwanRain MudHouseCollapse: A Shocking Incident %%page%% %%sep%% %%sitename%%

BurwanRain MudHouseCollapse

ক্লাউড টিভি ডেস্ক | পূর্ব বর্ধমান : টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত গ্রামীণ বর্ধমান। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকের ফতেপুর গ্রামে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রবল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ল এক মাটির বাড়ির একাংশ (BurwanRain MudHouseCollapse)। সৌভাগ্যবশত বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল – অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন একই পরিবারের তিন সদস্য।

গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকের ফতেপুর গ্রামে ফাটল ধরেছে বহু পুরনো মাটির বাড়িগুলিতে। মঙ্গলবার বিকেলে সেই বৃষ্টির জেরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পহলানপুর অঞ্চলের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষের মাটির তৈরি বাড়ির একাংশ।

বিশ্বজিতের পরিবারের তিন সদস্য সেই সময় বাড়ির ভেতরেই ছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, ঘটনার কিছু মুহূর্ত আগে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন, ফলে বড়সড় প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা পান। তিনি বলেন,

“অনেক দিনের পুরনো মাটির বাড়ি। টানা বৃষ্টিতে দেওয়াল এতটাই নরম হয়ে গিয়েছিল যে হঠাৎই ভেঙে পড়ে। আমরা একটু দেরি করলেই আজ বড় দুর্ঘটনা ঘটত।”

আসামে ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি, সেভেন সিস্টার্সে চরম দুর্যোগ

আলিপুরদুয়ারে জনসভা থেকে মোদীর তৃণমূল বিরোধী তোপ: ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু

প্রশাসনের আশ্বাস: পাশে থাকার বার্তা

খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান রায়না ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ কলিমুদ্দিন বাপ্পা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন,

“ব্লক প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিম থেকে পরিবারটির সবরকম সাহায্য করা হবে। প্রাথমিক ভাবে খাদ্য, বাসস্থান ও ত্রাণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

পুনর্বাসনের আবেদন ও স্থানীয়দের উদ্বেগ

পরিবারটির পক্ষ থেকে দ্রুত পুনর্বাসনের আবেদন জানানো হয়েছে। বিশ্বজিৎ বলেন,

“ঘর ভেঙে গেছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁইটাই সবচেয়ে বড় চিন্তা। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, যত দ্রুত সম্ভব একটা স্থায়ী সমাধান করা হোক।”

স্থানীয়দের মতে, গোটা অঞ্চলেই বহু পুরনো মাটির তৈরি বাড়ি রয়েছে। বর্ষার আগেই তাদের সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এবারের ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির তালিকা প্রস্তুত এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন :

চাকরি হারালেন কেকেআর প্রধান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, কারণ হতাশাজনক পারফরম্যান্স?

নতুন প্রেমে সারা আলী খান? কে এই অর্জুন প্রতাপ সিং বাজওয়া

ad

আরও পড়ুন: