West Bengal Rain Alert
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, এই নিম্নচাপটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গভীর নিম্নচাপে (Deep Depression) পরিণত হবে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
IMD সূত্রে জানা গিয়েছে — দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর বর্তমানে অবস্থান করছে এই নিম্নচাপটি। এটি ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি আরও শক্তি বাড়িয়ে “গভীর নিম্নচাপ”-এ পরিণত হতে পারে। এরপর এটি স্থলভাগে ঢুকে পড়বে — ফলে আগামী দুই থেকে তিন দিন পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এই জেলাগুলিতে—
পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০–৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।
হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা: মাঝে মাঝে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া: পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।
মৎস্যজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২–৩ দিন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় মাঝারি থেকে শক্তিশালী ঢেউ উঠতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের পাশাপাশি ওডিশা ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার জন্ম নিয়েছে নিম্নচাপ, তা হলে পুজোটা কি ভাসবে? আবহাওয়ার লেটেস্ট রিপোর্ট
তিন ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে জারি সতর্কতা
কলকাতার আকাশে ইতিমধ্যেই মেঘলা আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। IMD জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহর ও সংলগ্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। দুপুর ও সন্ধ্যার পর বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।এছাড়া বজ্রপাত ও হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির প্রবণতা কম থাকলেও, ২৭ অক্টোবরের পর থেকে সেখানেও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
পরামর্শ ও সতর্কতা
উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের উচ্চভূমিতে স্থানান্তরিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নদীর তীরবর্তী ও নিচু এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কৃষকদের বলা হয়েছে, ফসল কাটার সময় পরিকল্পনা করে কাজ করতে, কারণ অতিবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শহরাঞ্চলে জল জমে থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন :
সলমান খানকে “সন্ত্রাসবাদী” ঘোষণা করল পাকিস্তান! বালুচিস্তান মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক বিতর্ক
SIR ঘিরে নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন, BLOদের জন্য জারি হল একাধিক নির্দেশ